ডিএ’র দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা। কিন্তু, তারপরেও রাজ্য সরকার কর্মচারীদের ডিএ দিচ্ছে না বলে অভিযোগ। তা রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের ক্ষোভ আগে থেকেই ছিল। তারইমধ্যে বুধবার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য আরও চার শতাংশ ডিএ ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। এই অবস্থায় রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ’র ফারাক হয়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ শতাংশ। তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ আরও বেড়েছে। ডিএ নিয়ে আগেই সরকারি কর্মচারীদের পাশে দাঁড়িয়েছে বিজেপি। ফের ডিএ নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। তিনি সরকারি কর্মীদের ‘কামড়’ দেওয়ার পরামর্শ দিলেন।
আরও পড়ুন: বাড়ল ৪%, কবে থেকে ৪৬% হারে মহার্ঘ ভাতা মিলবে? ‘এরিয়ার’ পাবেন সরকারি কর্মীরা?
কয়েক বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডিএ’র জন্য আন্দোলন করার জন্য সরকারি কর্মচারীরা ‘ঘেউ ঘেউ করছে’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে কামড়ানোর পরামর্শ দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সুকান্ত মজুমদার জানান, কামড় দিলে তবে সরকার ডিএ দেবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন ঘেউ ঘেউ করবেন না। কিন্তু, এখন না কামড়ালে ডিএ পাওয়া যাবে না। বুধবার হাওড়ায় এপিজে মেমোরিয়াল দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে গিয়ে এভাবেই রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন সুকান্ত মজুমদার। এছাড়াও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
নারীপাচার নিয়েও রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেন। তিনি জানান, নারীপাচারে এক নম্বরে রয়েছে বাংলা। এরাজ্য থেকে বাইরের রাজ্যে মেয়েদের পাচার করা হচ্ছে। বিভিন্ন এনজিও যারা নিরপেক্ষ রয়েছে, তারা একই দাবি করছে। দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি জানান, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাটা জেলে রয়েছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী জেলে গিয়েছে আরও অনেকে জেলে যাবেন বলে তিনি দাবি করেছেন।
এছাড়া কামদুনি রায় প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। নিম্ন আদালতে যাদের ফাঁসির সাজা ঘোষণা করা হয়েছিল উচ্চ আদালতে বেকসুর খালাস পাওয়ার জন্য রাজ্যকে দায়ী করেছেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি জানান, রাজ্য সরকার এই মামলায় ১০ বার আইনজীবী বদল করেছে। রাজ্যের কারণে ফাঁসির সাজা হওয়া সত্ত্বেও বেকসুর পেয়েছে।