বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > মানবাধিকার কমিশনের প্রতিটি ঘটনা ধরে জেলা প্রশাসনকে জবাব দিতে নির্দেশ নবান্নের

মানবাধিকার কমিশনের প্রতিটি ঘটনা ধরে জেলা প্রশাসনকে জবাব দিতে নির্দেশ নবান্নের

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (ফাইল ছবি, সৌজন্য এএনআই)

আগামী ২২ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি আছে।

ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পেশ করা রিপোর্টে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে রাজ্যের শাসক দলকে। এবার সেই কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তি করে প্রতিটি ঘটনা ধরে ধরে পাল্টা জবাব দিতে তৈরি হচ্ছে রাজ্য প্রশাসন।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দেওয়া রিপোর্টে জানানো হয়েছে, রাজ্যজুড়ে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় মদত দিচ্ছে তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থকরা। হিংসা প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে কোনও পদক্ষেপই নিচ্ছে না রাজ্য প্রশাসন। শুক্রবার এই রিপোর্ট নিয়ে নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব বি পি গোপালিকা। সূত্রের খবর, কমিশনের রিপোর্টে উল্লেখ থাকা জেলাগুলিকে এই বিষয়ে তাদের মতামত লিখিত আকারে দিতে বলা হয়েছে। আগামী ২২ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি আছে। এরমধ্যে জেলাগুলিকে প্রতিটি ঘটনা প্রসঙ্গে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে প্রশাসন এই ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা উল্লেখ করতে বলা হয়েছে। ২২ জুলাইয়ের মধ্যে যদি সব জেলা তাদের উত্তর পাঠাতে না পারে, তাহলে আরও কিছুটা সময়ে আদালতের কাছে চেয়ে নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, কমিশনের জমা দেওয়া রিপোর্টে তৃণমূলের কয়েকজন নেতাকে দুষ্কৃতী হিসাবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। সেই নেতাদের মধ্যে রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ানের নাম করা হয়েছে। তাঁদের মানহানির মামলা করার কথা বলা হয়েছে।

ইতিমধ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দেওয়া রিপোর্ট নিয়ে নিজের অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে নিজের অসন্তোষের কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মতে, কয়েকটি সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যকে নানাভাবে বদনাম করার চেষ্টা করছে কেন্দ্র। প্রয়োজনে কমিশনের রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছে রাজ্য। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে নন্দীগ্রাম সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ভোট পরবর্তী হিংসায় যারা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন জাতীয় মানবাধিকার সংস্থার প্রতিনিধিরা। তাঁদের মতামত নিয়ে সম্প্রতি আদালতের কাছে রিপোর্ট পেশ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

বন্ধ করুন