বনধ সফল করতে আজ সকাল থেকেই রাস্তায় নেমেছেন ধর্মঘট সমর্থনকারী। বিভিন্ন জায়গায় রেল-সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। তবে মোটের উপর স্বাভাবিক রয়েছে জনজীবন। কলকাতায় বনধের সামান্য প্রভাব পড়েছে।
উত্তর কলকাতায় বনধের কিছুটা প্রভাব পড়েছে। কলেজ স্ট্রীট, আমহার্ট স্ট্রীটে যান চলাচল অন্যদিনের তুলনায় কিছুটা কম। দক্ষিণ কলকাতায় জনজীবন মোটের উপর স্বাভাবিক। টালিগঞ্জ, কালীঘাট ও হাজরায় স্বাভাবিক রয়েছে যান চলাচল। মাথায় হেলমেট পরে বাস চালাচ্ছেন চালকরা।
বনধের জেরে হাওড়া-শিয়ালদহে বিঘ্নিত রেল পরিষেবা। শিয়ালদহ মেন লাইনের ব্যারাকপুর, কাঁচরাপাড়ায় অবরোধ করেন বনধ সমর্থনকারীরা। পুলিশের সামনে দমদমে বন্ধ করে দেওয়া হয় রেল ও মেট্রোর টিকিট বুকিং কাউন্টার। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার যাদলপুরে রেল অবরোধ বনধ সমর্থকদের। ট্রেনে উঠে পড়েন তাঁরা। বনগাঁ শাখার বিরাটি স্টেশনে অবরোধ করা হয়। হৃদয়পুর ও বারাসত কারশেডে উদ্ধার করা হয় বোমা। হাওড়া-বর্ধমান লাইনে একাধিক জায়গায় অবরোধ। হাওড়া শাখার চেঙ্গাইল, বাউড়িয়া, নলপুরে চলছে অবরোধ। রিষড়া, চন্দননগরেও অবরোধ চলছে। খড়্গপুর শাখায় অবরোধ।
বিভিন্ন জেলায় বনধের মিশ্র প্রভাব পড়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করা হয়। আসানসোলে স্বাভাবিক জনজীবন। ঝাড়গ্রামে বনধের আংশিক প্রভাব পড়েছে। অন্যদিনের তুলনায় কম দোকানপাট খুলেছে।
বর্ধমানে উত্তেজনা। পেট্রল পাম্পে ভাঙচুর চালানো হয়। বাসে উটে চালককে মারধর করা হয়। ভেঙে দেওয়া হয় বাসের আয়না। টোটো থেকে জোর করে নামিয়ে দেওয়া হয় যাত্রীদের। আতঙ্কে ছুটে পালান যাত্রীরা। গাড়ির নিচ্ছেন কেড়ে নিচ্ছেন ধর্মঘট সমর্থনকারীরা।
মধ্যমগ্রামের চৌমাথা মোড়ে উত্তজেনা। বনধের সমর্থনে মিছিল বের করে সিপিআইএম ও কংগ্রেস। মিছিলকারীরা গাড়ির চাকার হাওয়া খুলে দেন বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে পালটা মিছিল করে তৃণমূল। দু'পক্ষ সামনাসামনি চলে আসে। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।
রায়গঞ্জে বেসরকারি বাসে ভাঙচুর চালানো হয়। ঢিল মেরে গাড়ির কাচ ভেঙে দেন বনধ সমর্থকরা। ঘাটাল-পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কে গাড়িতে ভাঙচুর চলে। মালদহেও বাসে ভাঙচুর চালানো হয়।
আমডাঙায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ বনধ সমর্থনকারীদের। বারাসতের চাঁপাডালি মোড়েও অবরোধ। খড়্গপুরে বনধ সমর্থনকারী ও পুলিশের ধস্তাধস্তি। রেললাইনে অশোকনগরে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ।
ব্যারাকপুর, দুর্গাপুরের শিল্পাঞ্চলে মিশ্র প্রভাব।