এই আশঙ্কাটাই ছিল। পাহাড়ের দখল কার হাতে থাকবে? এই প্রশ্নটা বড় হয়ে ওঠার আশঙ্কা তৈরি হয় যেদিন কলকাতায় আত্মপ্রকাশ করেন বিমল গুরুং। এখন পাহাড়ের দখল রয়েছে বিনয় তামাং গোষ্ঠীর উপর। আর গা ঢাকা দেওয়ার আগে ছিল বিমল গুরুংয়ের। তিনি আবার ফিরে এসেছেন। এমনকী ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের পাশে থাকবেন বলে ঘোষণা করেছেন। আর তাতেই বেঁধেছে গোল। বিমল গুরুং ফিরে আসায় তোলপাড় পাহাড়–সহ উত্তরবঙ্গের রাজনীতি। লোকসভা ভোটে উত্তরে তৃণমূল যে ধাক্কা খেয়েছিল, তার অনেকটাই বিধানসভা নির্বাচনে সামলে নিতে পারবে শাসকদল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। এই নিয়ে পাহাড়ে একটা চাপা উত্তেজনা শুরু হচ্ছে।
বিমল গুরুং ফিরে আসতেই দার্জিলিংয়ের একাধিক জায়গায় ইতিমধ্যেই গুরুং সমর্থকরা পোস্টার দিয়েছেন। জিএমএম সমর্থকদের সঙ্গে গুরুং গোষ্ঠীর সমর্থদের কথা কাটাকাটিও হয়েছে। রাজ্যজুড়ে শাসক–বিরোধী তরজা প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে রবিবার চক বাজারে শান্তি মিছিল করবে বিনয় তামাং গোষ্ঠী। তাদের বক্তব্য, পাহাড়ে যাঁরা অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে তাঁরা যেন না ফেরেন। অর্থাৎ বিনয় তামাং গোষ্ঠী চায় না, বিমল আবার কর্তৃত্ত্ব ফিরে পাক। আর বিনয় তামাং গোষ্ঠী যদি বিমল গুরুং গোষ্ঠীর সঙ্গে এক হয়ে যায় তাহলে পাহাড়বাসী আর তাদের বিশ্বাস করবে না।
উল্লেখ্য, গত বুধবার কলকাতায় দাঁড়িয়ে বিমল গুরুং ঘোষণা করেন, তিনি এনডিএ ছাড়ছেন। প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথা রাখেননি। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথার খেলাপ করেন না। তাই বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের সঙ্গে জোটে লড়াই করবেন। সূত্রের খবর, তিন মাস আগে দিল্লিতে গিয়ে গুরুংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। রাজ্যের এক মন্ত্রীর সঙ্গে কথাবার্তা হয়েছে তাঁর। তারপরই বিমলের এই ডিগবাজি বলে মনে করা হচ্ছে।
এমনকী সাংবাদিক বৈঠকে বিমল গুরুং বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি রাখেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেন, তাই করেন। এটা বাইরে থেকে দেখেছি। ২০২১ সালের নির্বাচনে আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জোট করে লড়াই করব। বিজেপিকে মোক্ষম জবাব দেব। মমতাই ফের মুখ্যমন্ত্রী হবেন। আমি সেটাই দেখতে চাই।’