অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় দলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান শিবঠাকুর মণ্ডলকে সাসপেন্ড করল তৃণমূল। মঙ্গলবার শিবঠাকুরের করা মামলার ভিত্তিতেই অনুব্রতকে গ্রেফতার করে বীরভূম জেলা পুলিষ। এর পরই শিবঠাকুরকে সাসপেন্ডের সিদ্ধান্ত নেয় দলের জেলা কমিটি। তবে বিরোধীদের দাবি, পুরোটাই আইনের চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা। পরিকল্পনামাফিক ওই তৃণমূলকর্মীকে দিয়ে অনুব্রতর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করানো হয়েছে।
২০১৩ সালে দুবরাজপুরের বালিজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হন শিবঠাকুর মণ্ডল। তাঁর দাবি, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগদানের জন্য আলোচনা চালাচ্ছিলেন তিনি। তখন তাঁকে দুবরাজপুর পার্টি অফিসে ডেকে পাঠান অনুব্রত মণ্ডল। জানতে চান, কেন বিজেপিতে যোগদান করতে চাইছি? এর পর উত্তেজিত হয়ে তিনি আমার গলা টিপে ধরেন। খুনের চেষ্টা করেন। এই অভিযোগ জানিয়ে সোমবার দুবরাজপুর থানায় FIR করেন তিনি।
তাঁর দাবি, অনুব্রতর ভয়ে তিনি এতদিন তিনি অভিযোগ দায়ের করতে পারেননি। বর্তমানে অনুব্রত মণ্ডল জেলবন্দি। তাই FIR করেছেন তিনি। তবে গরুপাচারকাণ্ডে অনুব্রতর গ্রেফতারির ৪ মাস পর তিনি কেন FIR করলেন তার জবাব দিতে পারেননি।
ওদিকে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে FIR করায় শিবঠাকুরকে সাসপেন্ড করেছে জেলা তৃণমূল। তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ ও দলবিরোধী কাজের অভিযোগ আনা হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।
বিজেপির দাবি, আসলে অনুব্রতর দিল্লিযাত্রা রুখতে পরিকল্পনামাফিক ওই তৃণমূল কর্মীকে দিয়ে ভুয়ো FIR করানো হয়েছে। আইনের চোখে ধুলো দিতে ওই দলীয় কর্মীকে সাসপেন্ডও করেছে তারা। গ্রেফতারির হাত থেকে বাঁচতে অনুব্রত এরকম অনেক চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সফল হননি। এবারও হবেন না।