ইসকোর জলপ্রকল্পের শিলান্যস অনুষ্ঠানে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল উত্তেজনা তৈরি হয়, আসানসোলের হীরাপুরে নাকড়াসোতায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়েন করা হয় প্রচুর পুলিশ বাহিনী।
শুক্রবার সকালে ইসকোর জলপ্রকল্পের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে হাজির হন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। কেন তিনি এই অনুষ্ঠানে এসেছেন, তার যুক্তি হিসাবে বিধায়ক বলেন, যেহেতু তাঁর অনুরোধেই এই জলপ্রকল্প শুরু হয়েছে, তাই তিনি এই অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছেন।
সেই সময় দলবল নিয়ে হাজির হন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলার অনুপ মাঝি। তিনি দাবি করেন, যেহেতু এই প্রকল্প ইসকোর তাই ইসকোর প্রতিধিনিই এই প্রকল্পের উদ্বোধন করবে। কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এর মধ্যে থাকতে পারবেন না।
এর পর অগ্নিমিত্রাকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়। গ্রামবাসীদের একাংশ তাঁকে ঘিরে রেখে কালো পাতাকা দেখায়। গ্রামে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। গ্রাম ঢুকতে না পেরে তিনি বলেন,'আমি এলাকার বিধায়ক, আমি গ্রামে ঢুকবেই। কিছু মানুষকে এনে কাজে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল।'
(পড়তে পারেন। নিজে থেকে সিধে না হলে পুলিশকে পিটিয়ে সিধে করব, বিষ্ণুপুরে বিষোদ্গার সুকান্তর)
বিধায়কের আরও অভিযোগ, গ্রামে ঢুকতে চাইলে তাঁর উপর লোকজন এনে আক্রমণ করা হচ্ছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ইসকোর আধিকারিকরা প্রকল্পের উদ্বোধন না করে ফিরে আসেন। এরপরেই বিধায়ক কেন্দ্রীয় সংস্থার প্রকল্পের কাজে তৃণমূলের বাধার অভিযোগ তুলে আইএসপি সেলের টাউন অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। তিনি বলেন, ইসকোর আধিকারিকেরা তৃণমূলের কাছে তাদের মেরুদণ্ড বিক্রি করে দিয়েছে।
কাউন্সিলার অনুপ মাজি বলেন, 'বিজেপি বিষয়টিকে রাজনৈতিক রঙ দিতে চাইছে। সিএসআর প্রকল্পের কাজ গ্রামের মানুষের দাবি ও দীর্ঘ লড়াইয়ের ফল। এই দাবি ১৯৭৮ সালের। সেখানে বিজেপি বিধায়কের কোনো ভূমিকা নেই। সকাল ১০ টায় শিলান্যাসের কথা থাকলেও দুপুর তিনটায় বিধায়কের সুবিধামত উদ্বোধনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। যার বিরোধীতা করেছে গ্রামবাসীরা।'