একুশের নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর থেকেই জেলায় জেলায়, ব্লকে ব্লকে সংগঠনের হাল বেহাল হতে শুরু করেছে। বিধায়ক ভাঙতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে দলীয় সিদ্ধান্ত থেকে পরিকল্পনা গোপন রাখতে চাইছে বিজেপি। কিন্তু দলের ভেতরের খবর সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। কে বা কারা সেই কাজ করছে তা নিয়ে তুমুল বিতণ্ডা দেখা দিয়েছে জেলা পদাধিকারীদের বৈঠকে।
রবিবার বিজেপির অফিসে বৈঠকের মূল অ্যাজেন্ডা ছিল, ভোট–পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের আইনি সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি। কিন্তু সাংবাদমাধ্যমে দলের অন্দরের খবর ফাঁস হয়ে যাওয়া নিয়ে উত্তপ্ত আলোচনা চলতে থাকে বলে সূত্রের খবর। কে বা কারা সংবাদমাধ্যমকে দলের ভেতরের খবর দিচ্ছেন তা নিয়েও সরগরম হয়ে ওঠে বৈঠক। তখনই দাবি ওঠে, সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কারা কথা বলবেন, কারা বলতে পারবেন না তা নিয়ে। এমনকী পরস্পরের দোষারোপে হট্টগোল তৈরি হয় বৈঠকে।
অভিযোগ, ব্লক বা জেলা থেকে যে পরিমাণ ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল রাজ্য কমিটিতে, তার থেকে টাকা কমিয়ে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। এই ক্ষতিপূরণের হার কমিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে বৈঠক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তখনই প্রকাশ্যে আসে জেলা কমিটির এক নেতার বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা আত্মস্যাৎ করার অভিযোগ।
তারপরই বিজেপির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সংবাদমাধ্যমে কোন নেতা, কী বিবৃতি দিচ্ছেন, এবার থেকে তা কড়া নজরে রাখা হবে। আর দলের সব বিধায়ক এবং সাংসদেরা একদিন করে জেলা পার্টি অফিসে বসবেন। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপির জেলার নেতা বলেন, ‘কয়েকজন দলের খবর বাইরে পাচার করে দিচ্ছেন। তাই সংবাদমাধ্যম আগে থেকেই তা জেনে যাচ্ছে। এই বিষয়টি উঠেছে বৈঠকে।’ ধূপগুড়ির বিধায়ক তথা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিষ্ণুপদ রায় বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচির কথা সংবাদমাধ্যম প্রকাশ করে না। শুধু মিথ্যে অভিযোগ লেখে। আমরা আমল দিচ্ছি না।’