দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের কৃতকর্মের দায় নিতে নারাজ বিজেপি। ভোটের আগে বিজেপিতে যোগদান করলেও পরে তিনি তৃণমূলে ফেরেন বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের। এদিন বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় শ্যামাপ্রসাদের গ্রেফতারিতে বিজেপির কিছু বলার নেই বলে মন্তব্য করেন।
৩৪ বছর বিষ্ণুপুর পুরসভার পুরপ্রধান ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ। ২০১১ সালে প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচনে জিতে রাজ্যের মন্ত্রী হন। ২০১৬ সালে ওই আসনেই হেরে যান তিনি। তার পর তাঁকে দলের জেলা সভাপতি করে দল। ২০২০-র ডিসেম্বরে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দলবদল করে বিজেপিতে যোগদান করেন শ্যামাপ্রসাদ। জানান, শুভেন্দু অধিকারীই তাঁর নেতা। কিন্তু কয়েকমাস যেতে না যেতেই তাঁর মোহভঙ্গ হয় বিজেপিতে। তৃণমূলে ফিরতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দোরে ধরনা দিতে শুরু করেন তিনি। কিন্তু ফল হয়নি। তাঁকে তৃণমূলে ফেরায়নি দল।
ওদিকে শ্যামাপ্রসাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, নানা দুর্নীতিতে যুক্ত তিনি। তোলাবাজি, চাকরি দেওয়ার নামে টাকা আদায়, মন্দিরের জমি দখল ও সারদার টাকা সারোনর অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে শ্যামাপ্রসাদকে ভোটে টিকিট দেয়নি বিজেপি।
শ্যামাপ্রসাদের গ্রেফতারি নিয়ে বিজেপির রাঢ়বঙ্গের পর্যবেক্ষক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘শ্যামাপ্রসাদবাবু তৃণমূলে ফিরে গিয়েছেন। বিধানসভা ভোটের আগেই উনি তৃণমূলে ফিরেছেন বলে জানিয়েছিলেন। ফলে ওনাকে আমাদের দলের সদস্য বলা ঠিক হবে না।’ সঙ্গে তাঁর দাবি, ‘ভোটের আগে অনেকে নিজের স্বার্থ পূরণে বিজেপিতে এসেছিলেন। স্বার্থসিদ্ধি না হওয়ায় তাঁদের অনেকে ফিরে গিয়েছেন। মার্চ মাসে উনি জানিয়েছিলেন যে উনি তৃণমূলেই আছেন। আর যে অভিযোগে উনি গ্রেফতার হয়েছেন তা বিজেপিতে থাকাকালীন করেননি।’
রবিবার সকালে ১০ কোটি টাকা টেন্ডার তছরূপের অভিযোগে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।