দলের অন্দরে বিদ্রোহ, তারপর জয়প্রকাশ মজুমদার, রীতেশ তিওয়ারির মতো নেতাদের সাময়িক বরখাস্ত নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছে বিজেপি। তারই মধ্যে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের মুখে আত্মসমালোচনা শোনা গিয়েছে। এর ঠিক পরেই চুঁচুড়াতে তৃণমূল সাংসদ এবং বিধায়কের কাছ থেকে সংবর্ধনা নিতে দেখা গেল বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি সুবীর নাগকে। যা আরও অস্বস্তিতে ফেলেছে বিজেপিকে। তা নিয়ে সুর চড়িয়েছেন বিজেপির অন্যান্য নেতারা।
যদিও তৃণমূল বিধায়ক, সাংসদদের কাছ থেকে সংবর্ধনা নেওয়ার বিষয়ে সাফাই দিয়েছেন সুবীর নাগ। তিনি বলেছেন, 'আমি কোনও বিদ্রোহ করিনি।' প্রসঙ্গত, চুঁচুড়ার একটি ক্লাবের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাংসদ অপরুপা পোদ্দার এবং চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। তাদের হাত থেকে সংবর্ধনা নিতে দেখা গিয়েছে সুবীর নাগকে। সে কথা অবশ্য অস্বীকার করেননি সুবীর নাগ। তিনি বলেন, 'আমার পাড়ায় যে ক্লাবে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে সেই ক্লাবের আমি সদস্য। একজন সাংসদ জনপ্রতিনিধি হিসেবে যদি সংবর্ধনা তুলে দেন তাহলে তা কীভাবে প্রত্যাখ্যান করা যায়! '
তবে তৃণমূলের বিধায়ক, সংসদের কাছ থেকে সংবর্ধনা নেওয়ায় সুবীর নাগের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে বিধায়ক অসিত মজুমদার জানিয়েছেন, 'এটি কোনও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান ছিল না। তবে তিনি যদি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তাহলে তাতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই।'
অন্যদিকে, বিজেপি নেতার সংবর্ধনা নেওয়ার পর সরব হয়েছেন হুগলি জেলার যুব নেতা সুরেশ সাউ। তিনি বলেন, 'বিজেপিতে স্বাধীনতা রয়েছে। তবে কেউ যদি অপব্যবহার করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উচ্চনেতৃত্ব তা দেখছেন।'