সায়ন্তন বসুর পর এবার জিতেন্দ্র তিওয়ারি। জনতার বিক্ষোভের খাতায় নাম লেখালেন তিনিও। বিজেপির এক কর্মীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়লেন আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। একদা তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলেন। একুশের নির্বাচনের আগে তাঁরও দমবন্ধ হয়ে আসছিল। তাই সেফ হোম হিসাবে বিজেপিতে যোগ। এবার তাঁকে হেনস্থা করার অভিযোগও উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।
ঠিক কী ঘটেছে? স্থানীয় সূত্রে খবর, পাণ্ডবেশ্বরের খোট্টাডিহি কোলিয়ারির অন্তর্গত খোট্টাডিহি গ্রামে সোনালি গিরি নামে এক দলীয় কর্মীকে দেখতে গিয়ে হেনস্থার মুখে পড়লেন পাণ্ডবেশ্বরের প্রাক্তন বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। অভিযোগ, নিতাই মণ্ডল নামে জনৈক এক ইসিএল কর্মীর নেতৃত্বে শুরু হয় জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে ঘিরে ধরে ব্যাপক গালিগালাজ। তার গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বিক্ষোভকারীরা। এমনকী হেনস্থা করা হয় জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে। বুধবার এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠছে।
কে এই নিতাই মণ্ডল? এই নিতাই মণ্ডল তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী বলে পরিচিত এলাকায়। অহেতুক হেনস্থার প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়েন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। পুলিশের সামনেই তাঁকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ জিতেন্দ্রর। নাম না করে তিনি এই দায় চাপিয়েছেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে।
এদিকে এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পৌঁছয় পুলিশ। প্রাক্তন বিধায়ককে তাঁর গাড়িতে তুলে এলাকা থেকে বের করে দিতে সক্ষম হয় পুলিশ। যদিও এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোন যোগ নেই বলে জানিয়েছেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। পাণ্ডবেশ্বর থানার পুলিস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে পাণ্ডবেশ্বর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি নেতা।
অন্যদিকে, পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর বলেন, ‘সোনালি গিরি চাকরি দেওয়ার দাম করে অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল। আজ সোনালির কাছে টাকা চাইতে যান বেশকিছু লোক। তখন জিতেন্দ্র তিওয়ারি এলাকায় ঢুকলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় মানুষজন। এটা সাধারণ মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।’