বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে তপ্ত হয়ে উঠল খয়রাশোল। দলের কর্মীকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগে সরব হয়েছে পদ্ম শিবির। তাদের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই তাঁদের দলীয় কর্মীকে খুন করেছে। অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের পাল্টা দাবি, ত্রিকোণ প্রেমের জেরে ওই যুবক আত্মহত্যা করেছেন।
ঘটনার পর থেকেই চাপানউতোর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের খয়রাশোলের হযরতপুর গ্রামে। ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় খয়রাশোল থানা পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবকের নাম ইন্দ্রজিৎ সূত্রধর। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এই ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক কোনও কারণ নেই। ত্রিকোণ প্রেমের জেরে এই খুনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা দাবি করেন, মৃত ওই যুবক তাঁদের দলের বুথ সভাপতি। তাঁকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতRরাই খুন করেছে। গলায় দঁড়ি পরিয়ে হাত পিছমোড়া করে বেঁধে তাঁকে খুন করার পর ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি তোলেন তিনি। এমনকী হুঁশিয়ারিও দেন যে, অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করা হলে, দেহ দাহ করতে দেওয়া হবে না।
অন্য দিকে, এই ঘটনার পাল্টা যুক্তি দেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়। তিনি জানান, এই ঘটনাটি ত্রিকোণ প্রেমের জেরে ঘটেছে। এর সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও সম্পর্ক নেই। অযথা আমাদের উপর দায় চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কীভাবে ওই যুবকের মৃত্যু হল, তা জানতে ঘটনার তদন্তে শুরু করেছে খয়রাশোল থানার পুলিশ।