একুশের নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই গেরুয়া শিবিরে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। প্রায় রোজই পালা করে দল ভাঙনের খবর মিলছে। সেটা নিজেদের শক্তঘাঁটি বলে পরিচিত উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু করে দক্ষিণবঙ্গ এবং পশ্চিমাঞ্চল থেকেও। এমনকী বিরোধী সিপিআইএম–কংগ্রেস থেকেও দলে দলে তৃণমূল কংগ্রেসে এসে যোগ দিচ্ছেন। সেখানে বিজেপির ক্ষেত্রে ভাঙন সবচেয়ে বেশি। রবিবার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ তথা সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের গড় ডায়মন্ড হারবারে বিরোধীদের ঘরে ভাঙন দেখা গেল।
এদিন বিজেপি, সিপিআইএম থেকে ৬০০ কর্মী যোগ দিল তৃণমূল কংগ্রেসে।স্বাভাবিকভাবেই এখানে যেটুকু বিজেপির সংগঠন ছিল তা শেষ হয়ে গেল। একুশের নির্বাচনী প্রচারে এসে এখানেই আক্রমণের মুখে পড়েন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। তারপর ভোকাল টনিক দেওয়া হলেও এখানে খাপ খুলতে পারেনি বিজেপি। এবার এখানকার বিজেপি নেতা–কর্মীরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন। আজ ডায়মন্ড হারবার ১ নং ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গৌতম অধিকারীর হাত ধরে বাসুলডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ৬০০ কর্মী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন।
জানা গিয়েছে, মূলত বাসুলডাঙা অঞ্চলের বিজেপির অঞ্চল সভাপতি দুখিরাম মিস্ত্রী এবং সিপিআইএমের প্রাক্তন প্রধান বিশ্বনাথ হালদার এলাকার বিজেপি ও সিপিআইএম কর্মীদের নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। এখনও পর্যন্ত ডায়মন্ড হারবার ১ নং ব্লকে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে ৩ হাজার বিজেপি ও সিপিআইএম কর্মী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করে। স্বাভাবিকভাবেই এখানে আরও ঘাসফুলের সংগঠন শক্তিশালী হল বলে মনে করা হচ্ছে।