২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলায়–জেলায় ভাঙন অব্যাহত। এবার বিজেপি–সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন প্রায় এক হাজার কর্মী সমর্থক। দলের প্রতি আস্থা হারিয়ে এরা তৃণমূলে যোগ দিলেন। এই দলবদলের ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়িতে। সেখানে কয়েকজন তৃণমূল নেতা বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে সেখানে এই দলবদল করিয়ে তাঁদের বুঝিয়ে দেওয়া হল এখানে কেউ অপরিহার্য নয়। সুতরাং এক ঢিলে দুই পাখি মারল তৃণমূল কংগ্রেস। দলবদলও করা হল। শিক্ষাও দেওয়া হল।
জলপাইগুড়ি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জলপাইগুড়ি পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ১ হাজার বাসিন্দা বিজেপি, সিপিএম ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। জলপাইগুড়ি জেলা যুব তৃণমুল কংগ্রেসের সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এদিন এই যোগদান কর্মসূচি হয়। উপস্থিত ছিলেন যুব তৃনমূল কংগ্রেস নেতৃত্বরা।
উল্লেখ্য, গত ১০ বছরে রাজ্য সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সাধারণ মানুষের উন্নয়নে কি কি কাজ করেছে তা তুলে ধরতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যের ব্লকে ব্লকে বঙ্গধ্বনি কর্মসূচী চলছে। সেই কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে নেতা–কর্মীরা তৃণমূলে যোগদান করে চলেছেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না বলে মনে করা হচ্ছে।
মহিষাদল ব্লকের লক্ষ্যা–২ গ্রাম–পঞ্চায়েতের এলাকায় বঙ্গধ্বনি কর্মসূচিতে জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে সুরজিত মান্না, উত্তম কুমার মান্না, স্বপন কুমার মান্না–সহ শতাধিক কর্মী বিজেপি ছেড়ে মহিষাদল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন।
যদিও স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, আগামী ২০২১ বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় আসছেই। মানুষ বুঝে গিয়েছে। উন্নয়নের নামে ক্লাবকে টাকা, উৎসব চলেছে। বাংলার মানুষ ফের একবার বদল চায় বলে দাবি বিজেপি’র।