একুশের নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর বিজেপিতে ভাঙন শুরু হয়েছে। এমনকী একদিন আগেই আসানসোলে গেরুয়া দুর্গে ভাঙন ধরেছে। নির্বাচনের আগে প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে দলে টেনে নিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু তিনি জিততে পারেননি। আর তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসতেই এবার আসানসোলেও বিজেপির সংগঠনে বড় থাবা বসাল ঘাসফুল শিবির। রবিবার বিজেপির আসানসোলের প্রাক্তন জেলা সম্পাদক মদনমোহন চৌবে–সহ বিজেপির বহু নেতা–কর্মী যোগ দিয়েছেন জোড়াফুলে। তাঁরা সিঙ্গল ফুলে থাকতে নারাজ। তারপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় দলের সেই নেতা–কর্মীদের সমালোচনায় মুখর হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়।
কী লিখেছেন তিনি? সোশ্যাল মিডিয়ায় বাবুল লেখেন, ‘হ্যাঁ, আজ আসানসোলের কিছু বিজেপি সহকর্মী দল ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছে! আমি এটুকুই বলব, যারা একসময় সঙ্গে ছিল তারা আজ তাদের নিজেদের মর্জি/ইচ্ছা/বিবেক অনুযায়ী দল ছেড়েছে। তবে তাদের ছোট নেতা–চুনোপুটি–গদ্দার বলবো না। আবার ‘কিছু এসে যায় না’র মতো মন্তব্যও করব না| তোমাদের সঙ্গেও ভালো ছিলাম, তোমাদের বিপক্ষ হিসেবেও আমরা ভালো থাকব, এটাই বলব।’ এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে নিজেদের ব্যর্থতা ডেকেছেন তিনি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা।
এদিন বাবুল সুপ্রিয় দলত্যাগীদের কার্যত লোভী বলেছেন। সিন্ডিকেট–তোলাবাজির জন্যই এই দলত্যাগ বলে দাবি করেন তিনি। তাই ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘আসানসোলের তৃণমূলী নেতা–মন্ত্রীরা তোমাদের এলাকায় সিন্ডিকেট–তোলাবাজির সুযোগ করে দিয়ে তোমাদের ভালো রাখবে এই কামনা করি।’ তবে বিজেপিতে মন ভেঙে যাওয়ার কথা বলেছেন মদনমোহন চৌবেরা। তাঁর অভিযোগ, ‘ভাবতে পারিনি নিজের দল তার আদর্শ থেকে সরে যাবে এবং দুর্নীতি করবে। দল করার মানসিকতা আর নেই। এই দুর্নীতিতে কারা জড়িত সে খবর আপনারা কিছু দিন বাদে পেয়ে যাবেন।’ এই বিষয়ে অবশ্য বাবুল কিছু লেখেননি বা বলেননি।