বাংলার ভাল করার কথা শুধু মুখে বললেই হয় না। তা করেও দেখাতে হয়। নবান্ন অভিযানের নামে যে তাণ্ডব হল তাতে রেয়াত করা হল না মুমুর্ষূ রোগীকেও। বিজেপি’র নবান্ন অভিযানে অবরুদ্ধ হাওড়া শহরে ঢুকতেই পারল না অ্যাম্বুল্যান্স। তার জেরে প্রাণ গেল অসুস্থ রোগীর। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার চ্যাটার্জি হাটে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মধ্য হাওড়ার সিদ্ধেশ্বরীতলা লেনের বাসিন্দা ছিলেন সৌরভ সাঁতরা (৫১)। গ্যাংগ্রিন হওয়ায় ডান পা বাদ দিতে হয়েছিল। নার্সিংহোম থেকে বাড়িও ফিরেছিলেন। থাকছিলেন চ্যাটার্জি হাটের শ্বশুরবাড়িতে। সেখানেই হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। স্থানীয় চিকিৎসক বলেন, হাসপাতালে নিয়ে যেতে। সৌরভবাবুর শ্বশুর শান্তিকুমার মিত্র অ্যাম্বুল্যান্সে যোগাযোগ করেন। বারবার ফোন করেন অ্যাম্বুল্যান্স চালককে। চালক ব্যর্থ গলায় জানান, কোনও রাস্তা দিয়েই তিনি ঢুকতে পারছেন না।
অবশেষে সৌরভকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া গেল না। তিনি মারাই গেলেন। হাওড়া জেলা স্কুলের প্রাক্তনী সৌরভবাবু সোনা–রুপোর ব্যবসা করতেন। এই ঘটনার পর তাঁর শ্বশুর শান্তিকুমার মিত্র ফেসবুকে একটি পোস্টে লেখেন, ‘ভারতীয় জনতা পার্টির জমায়েত আমার বড় মেয়েকে বিধবা করে দিল। অতি–উৎসাহীদের জন্য জীবনদায়ী কোনও ব্যবস্থা পাওয়া গেল না। ধন্যবাদ জানাই এই সব সমর্থকদের। ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি, আমার মতো অবস্থায় যেন কাউকে পড়তে না হয়।’