সম্প্রতি হাওড়া জেলা সভাপতির পদে প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখা গিয়েছে। তাতে সামাল দিতে হিমশিম খেয়েছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। এবার একই ছবি দেখা গিয়েছে নদিয়া জেলায়। সেখানের জেলা সভাপতি পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। আর তাতেই গেরুয়া শিবিরে প্রবল আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।
এভাবে জেলার নেতারা পদ থেকে সরে যেতে শুরু করলে সংগঠন ভেঙে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জেলায় জেলায় সংগঠন এখন আগের থেকে দুর্বল হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতি নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গে বৈঠক করার কথা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। কারণ একুশের নির্বাচনে বিজেপির পরাজয়ের পর থেকেই দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। শান্তিপুর বিধানসভার উপনির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়ার পর পদ ছাড়তে চেয়ে মঙ্গলবার সুকান্ত মজুমদারকে চিঠি দিলেন বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অশোক চক্রবর্তী।
কিন্তু পদত্যাগের কারণ কী? পেশায় ইংরেজির মাস্টারমশাই অশোক চক্রবর্তী বলেন, ‘শান্তিপুরে ভাল হয়নি। সেই দায় মাথায় নিয়েই সরে যেতে চাইছি।’ শুধুই কী ফলাফলের জন্য এই সিদ্ধান্ত? তিনি কোনও উত্তর দেননি। সূত্রের খবর, এই জেলায় এখন প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। জেলা সভাপতির কথা অনেকেই মানছেন না। আবার তলায় তলায় অনেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। যার প্রভাব পড়েছে ভোটবাক্সে।
জানা গিয়েছে, এককালের এসএফআই কর্মী অশোক চক্রবর্তী বিজেপিতে যোগ দেন ১৯৯৫ সালে। বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ জেলার সভাপতি জগন্নাথ সরকার ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে জিতে সাংসদ হন। তখন মানবেন্দ্র রায়কে ওই জেলার সভাপতি করে দল। পরে জেলা সভাপতি হন জগন্নাথের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত এই অশোক চক্রবর্তী। এবার জগন্নাথের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে অশোকের। তার জেরেই এই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন গেরুয়া শিবিরের জেলার নেতারা।