বিজেপির অন্দরের অন্তর্কলহ ক্রমাগত বাড়ছে। আর তাই হোয়াটস্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেছেন মতুয়া সাংসদ শান্তনু ঠাকুর থেকে শুরু করে পাঁচ মতুয়া বিধায়কও। বুধবার গ্রুপত্যাগীর তালিকায় যুক্ত হন খড়গপুর সদরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের মতো অত বড় দল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছিলাম। কিন্তু এখানে প্রাপ্য গুরুত্ব পাচ্ছি না। দিলীপ ঘোষ নিজের মতো করে দল পরিচালনা করেন।’ এবার হিরণের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ? এদিন তিনি বলেন, ‘কিছু হলেই এখন গ্রুপ ছেড়ে চলে যাবেন কেউ কেউ! তাতে কার কী করার রয়েছে! তাছাড়া যিনি গ্রুপ ছেড়ে গিয়েছেন তাঁকে তো ডেকে ডেকে পাওয়া যায় না। দলের কোনও মিটিং মিছিলে অংশ নেন না তিনি। আগেও অনেকবার তাঁকে দলের কাজে ডাকা হয়েছে। কিন্তু তাঁকে পাওয়া যায়নি।’ অর্থাৎ সরাসরি হিরণ নিষ্ক্রিয় ছিল দলের কাজে বোঝাতে চেয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি।
কিন্তু হিরণের কী অভিযোগ? হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের মতো অত বড় দল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছিলাম। কিন্তু এখানে প্রাপ্য গুরুত্ব পাচ্ছি না। দিলীপ ঘোষ নিজের মতো করে দল পরিচালনা করেন। খড়গপুরে আসেন, নিজেদের সময়মতো সভা করেন। আমাকে জানানোর প্রয়োজন মনে করেন না। তাই বঙ্গ–বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চাই না।’
এখন প্রশ্ন হিরণ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন কেন? এই বিষয়ে তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আমি এইসব গ্রুপে বিশ্বাস করি না। এই ব্যাপারে বিরোধী নেতা আছেন। তিনি জানবেন। বিষয়টি সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকেরা দেখবেন। জনগণ আমাকে জিতিয়েছে। তাই জনগণের সঙ্গে থাকতে হবে। পার্টির সঙ্গেও থাকতে হবে। এটাই নিয়ম।’ এখন পরিস্থিতির ড্যামেজ কন্ট্রোল না করে দিলীপ–হিরণ আকচা–আকচি সরগরম করে তুলেছে রাজ্য–রাজনীতিকে বলে মনে করা হচ্ছে।