সকালে তিনি এগরায় আসেন। আজ, আদালতে হাজির হওয়ার বিষয় ছিল। সেখানে তিনি গিয়েছিলেন। তার পর তিনি হাজির হন শিশির অধিকারীর সাংসদ অফিসে। সেখানে বিজেপির জেলার নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন। তারপর শিশির অধিকারীর বাড়িতে গিয়ে মধ্যাহ্নভোজ সারলেন তিনি। হ্যাঁ, তিনি বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
ঠিক কী ঘটেছে শুভেন্দুর বাড়িতে? এই ঘটনায় আবার সংবাদ শিরোনামে উঠে এল কাঁথির শান্তিকুঞ্জ। কারণ শুক্রবার এখানেই মধ্যাহ্নভোজ সরালেন দিলীপ ঘোষ। শিশির অধিকারী এখনও খাতায়–কলমে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। দিব্যেন্দু অধিকারীও তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ। শুভেন্দু আর সৌমেন্দু বিজেপিতে। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের বাড়িতে এসে বিজেপি সাংসদের মধ্যাহ্নভোজ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
ঠিক কী বলেছেন দিব্যেন্দু অধিকারী? রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কেউ যদি বাড়িতে যান তাঁকে যা আপ্যায়ন করা হয়, দিলীপ ঘোষকেও তাই করা হয়েছে। সৌজন্যের খাতিরে বাড়ি যেতে চাইলে, তাঁকে কি কেউ না বলতে পারে।’
উল্লেখ্য, কাঁথি আদালত থেকে বেরিয়ে সোজা শান্তিকুঞ্জে যান দিলীপ ঘোষ। শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারেন তিনি। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের যুক্তি, বামফ্রন্টের জমানায় তাবড় সিপিআইএম নেতারা তাঁদের বাড়িতে এসেছেন। এমনকী বহু কংগ্রেস নেতাও এই বাড়িতে এসেছেন। তাহলে বিজেপি নেতার আসতে অসুবিধা কোয়ায়?