রাজ্যের ৪ পুরনিগমে ভোট আসন্ন। ভোট এগিয়ে আসতেই ওয়ার্ড দখলের লড়াইয়ে কোমড় বেঁধে নেমেছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। এই পুরনিগমগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল আসানসোল পুরনিগম। তৃণমূল এবং সিপিএম এখানে আগেই প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এবার এই পুরনিগমে নির্বাচনী লড়াইয়ে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল বিজেপি। প্রত্যাশা মতো অনেক নেতার নাম বিজেপির প্রার্থী তালিকায় নেই। আর তা নিয়ে দলের অন্দরেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বাবুল সুপ্রিয় ঘনিষ্ঠ অনেক নেতার নাম এবার চোখে পড়েনি বিজেপির প্রার্থী তালিকা। বিজেপির প্রাক্তন জেলা সহ সভাপতির ঘনিষ্ঠ নেতাদের নাম এবার আসানসোল পুরনিগমে প্রার্থী তালিকায় রেখেছে বিজেপি। প্রার্থী করা হয়নি আসানসোলের বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে । তাঁর স্ত্রী চৈতালি তেওয়ারির নাম বিজেপির প্রার্থী তালিকায় থাকলেও জিতেন্দ্রর নাম না থাকায় প্রশ্ন উঠেছে। যদিও তিনি নিজে থেকেই এবার প্রার্থী হতে চাননি বলে জানিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আসানসোলে আমার মেয়ের থাকার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমি আসানসোলকে হাতের তালুর মতো চিনি। পুরভোটের লড়াইয়ে আমি সেনাপতির ভূমিকায় থাকবো।'
তাঁর হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসা অনেক নেতার নাম এবার রয়েছে বিজেপির প্রার্থী তালিকায়। যারমধ্যে অভিজিৎ আচার্য, ইন্দ্রানী আচার্য প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য। তবে যারা দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি করছে তাদের অনেককেই প্রার্থী না করায় বিজেপির অন্দরে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এলাকায় বিজেপির যুবনেতা সুদীপ চৌধুরীকে প্রার্থী করা হলেও তিনি অবশ্য দলের সিদ্ধান্তে খুশি নন। তিনি যে ওয়ার্ডে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন সেই ওয়ার্ড থেকে তাঁকে প্রার্থী করেনি বিজেপি।
তবে দলের অন্দরে ক্ষোভ তৈরি হলেও তাতে অবশ্য বেশি গুরুত্ব দিতে রাজি নন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর স্পষ্ট কথা, দল যাকে যোগ্য মনে করেছে তাঁকেই প্রার্থী করেছে। তাতে হয়তো অনেকেই হতাশ হতে পারেন। কিন্তু সে কথা ভেবে দল চলবেনা।