বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষের মোটরসাইকেল মিছিলকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর। মিছিল থেকে তৃণমূলের পার্টি অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালান বিজেপি কর্মীরা, বলে অভিযোগ। ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিকদের রাস্তায় ফেলে পেটানো হয় বলে অভিযোগ। ভেঙে দেওয়া হয় ফোন। পুলিশ পৌঁছে বেশ কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তৃণমূলের সন্ত্রাসের প্রতিবাদে রবিবার ভূপতিনগ থেকে মাধাখালি পর্যন্ত মোটরসাইকেল মিছিলের আয়োজন করেছিল বিজেপি। মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছিল চরমে। মিছিল একতারপুরে পৌঁছতেই রাস্তার ওপর একটি তৃণমূল পার্টি অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালান বিজেপি কর্মীরা, বলে অভিযোগ উঠেছে। ছবি তুলতে গেলে মাটিতে ফেলে বাঁশ দিয়ে সাংবাদিকদের পেটায় কিছু লোক, বলে একাংশের দাবি। ভেঙে দেওয়া হয় সাংবাদিকদের ফোন। বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাঁদের যন্ত্রপাতি।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে তারা। দিনে দুপুরে তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙলেও তার দায় তৃণমূলের ঘাড়েই চাপিয়েছেন কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী। সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি দাবি করেন, ‘বিজেপির মিছিল রুখতে বারবার বাধা দিচ্ছিল তৃণমূল। কখনো ভারতী ঘোষের গাড়ির সামনে গাছ ফেলে, কখনও মিছিলে ইট মেরে বাধা দেয় তারা। একতারপুরে তৃণমূল পার্টি অফিস থেকেও মিছিলে হামলা চালানো হয়। প্রতিরোধ করলে পার্টি অফিসটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’
তৃণমূলের তরফে এদিন হামলাকারীদের গ্রেফতারি দাবি করা হয়েছে। জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র মধুরিমা মণ্ডল বলেন, বিজেপি কর্মীরা নিজেদের মধ্যে গোলমাল করে আমাদের পার্টি অফিস ভেঙেছে।