ফি বছর বর্ষা এলেই ফুলহারের জল হু হু করে বাড়তে থাকে। নীচু এলাকায় জল ঢুকে যায়। প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকায়। এবারও মালদার হরিশচন্দ্রপুরে তার অন্যথা হয়নি। এবার ইসলামপুর ও দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা ফুলহার নদীর জলে ভেসে গিয়েছে। কিন্তু সেই দুর্গত বাসিন্দাদের নিয়েও আমরা- ওরা খেলায় নেমেছে শাসকদল। এমনটাই অভিযোগ বাসিন্দাদের। দুর্গতদের একাংশের অভিযোগ এবারের ভোটে বিজেপিকে সমর্থন করার জেরে এলাকায় সরকারি সাহায্য পাঠানো হচ্ছে না।
বাসিন্দাদের দাবি, বাড়ি, চাষের জমি, রাস্তা সব জলের তলায়। দুমুঠো খাবারের জন্য মানুষ হন্যে হয়ে ঘুরছে। এর সঙ্গেই শাসকের রোষানল পড়েছে এই দুর্গত বাসিন্দাদের উপর। এদিকে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, সব ভেসে গিয়েছে। অথচ বিজেপি করার অপরাধে সরকারি ত্রাণ থেকে বঞ্চিত এলাকার অনেকেই। অন্যদিকে একই এলাকায় তৃণমূল সমর্থকরা ত্রাণ পাচ্ছেন। এমনটাই দাবি বিজেপি নেতৃত্বের। বিজেপি নেতা সাগ্নিক সিনহা বলেন, ত্রাণ নিয়ে পুরোপুরি রাজনীতিকরণ করা হচ্ছে। আমাদের একটাই দাবি রাজনীতির রঙ না দেখে ত্রাণ সকলকে দেওয়া হোক।
বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, যে সমস্ত বুথে আমরা জিতেছি, সেখানে ত্রাণ দিচ্ছে না। এখানে করোনা ভ্যাকসিনও দেওয়া হচ্ছে না। এখানকার বাসিন্দারা বাধ্য হয়ে পার্শ্ববর্তী বিহারে গিয়ে ভ্যাকসিন নিয়ে আসছেন। দুর্গত বাসিন্দাদের একাংশ বলেন, ভোট এলেই সব নেতারা ঝাঁপিয়ে পড়েন। ভোট মিটে গেলেই আর কারোর দেখা পাওয়া যায় না। নদীতে বাড়ি ভেসে গিয়েছে। সরকারি কোনও সহায়তা নেই। স্থানীয় বাসিন্দা প্রভাস চন্দ্র মণ্ডল বলেন, 'এখানকার স্কুলও ভাড়া করা শিক্ষক দিয়ে চলে। বিজেপিকে সমর্থন করার জন্যই আমাদের সরকারি ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে না।' তবে বঞ্চনার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।