পশ্চিম মেদিনীপুরে রাজনৈতিক সংঘর্ষে মৃত্যু হল ১ বিজেপি কর্মীর। দাঁতনের চক ইসমাইল গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা নিহত পবন জানা সম্প্রতি ভিনরাজ্য থেকে ফিরেছিলেন। বৃহস্পতিবার কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে মৃত্যু হয় তাঁর। এর পরই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। পালটা মারে গুরুতর আহত হয়েছে ২ তৃণমূলকর্মী।
জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরেই রাজনৈতিক উত্তেজনা ছিল চক ইসমাইল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। বিজেপি কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে গৃহ সম্পর্ক অভিযান চালাচ্ছিলেন। তাতেই ক্ষেপে ওঠে তৃণমূল। বুধবার সকালে সঞ্জয় দাস নামে এক বিজেপিকর্মীকে মারধর করে তৃণমূলের লোকারা। বিকেলে সঞ্জয়কে কেন মারা হয়েছে তা নিয়ে প্রতিবাদ জানান বিজেপির কয়েকজন। তখন ফের লাঠিসোটা নিয়ে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালায় তৃণমূলি গুন্ডারা।
তৃণমূলি গুন্ডাদের হামলায় মাথা ফাটে পবনের। গুরুতর আহত হন তাঁর বাবা অজয় জানা, বিজেপি কর্মী গুণধর মান্না, রাসবিহারী মহাপাত্র। তাদের দাঁতন গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মেদিনীপুরে স্থানান্তরিত করা হয়। পবনকে সেখান থেকে কলকাতায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি।
পবনের মৃত্যুর খবর পৌঁছলে কুশমি গ্রামে উত্তেজনা ছড়ায়। পালটা মারধর করা হয় তৃণমূল কর্মীদের। তাতে ২ জন আহত হয়েছেন। জেলা বিজেপি সভাপতি শমিত দাস জানিয়েছেন, ‘পায়ের তলায় মাটি হারিয়ে ব্যক্তিহত্যার রাজনীতিতে নেমেছে তৃণমূল। আগামিকাল কুশমি অভিযান করবে বিজেপি। পুলিশের কোনও অনুমতি নেওয়া হবে না। এর পর যেদিন আমরা থানায় যাব, থানা জ্বালিয়ে দিয়ে আসব।’
যদিও জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি জানিয়েছেন, ‘বিজেপি কর্মীরাই প্রথম হামলা চালায়। স্থানীয়রা প্রতিরোধ করলে ৪ বিজেপি কর্মী আহত হন।’