একেবারে মাইক বাজিয়ে, শামিয়ানা খাটিয়ে ঝাড়ফুঁকের আসর বসেছিল কোচবিহারে। শীতলকুচি ব্লকের লালবাজার গ্রামে দুর্ঘটনায় জখম এক ব্যক্তিকে ঝাড়ফুঁক দিয়ে সারিয়ে তোলার জন্য অসমের ৬জন ওঝাকে আনা হয়েছিল। তারা একেবারে শামিয়ানা খাটিয়ে জমিয়ে বসেছিল। রাতদিন চলছিল ঝাড়ফুঁক। এর সঙ্গেই মাইকে গান বাজনা। স্থানীয় সূত্রে খবর ছামিনুল মিঁয়া নামে এক রাজমিস্ত্রি কাজ করার সময় পড়ে গিয়ে পঙ্গু হয়ে গিয়েছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করিয়েও তিনি পুরোপুরি সুস্থ হতে পারছিলেন না।
এরপরই অসম থেকে ওঝা নিয়ে এসে ঝাড়ফুঁকের সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার। এদিকে ঘটনার খবর পেয়েই সোমবার পুলিশ দ্রুত গ্রামে যায়। শামসুদ্দিন মিঁয়া নামে একজন ওঝাকে পুলিশ আটক করে। এদিকে এরপরই পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন উত্তেজিত গ্রামবাসী। পরে তাদেরকে কোনওরকমে আশ্বস্ত করা হয়। তবে পুলিশ দেখেই বাকি ৫জন ওঝা চম্পট দেয়। শীতলকুচি থানার পুলিশ জানিয়েছে, খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল।
বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির সদস্যদের দাবি, ঝাড়ফুঁক করে রোগ নিরাময় সম্ভব নয়। এব্যাপারে গ্রামে সচেতনতা শিবির করা দরকার। রোগীর উপযুক্ত চিকিৎসা করানো দরকার। এদিকে টেলিমেডিসিনে রাজ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কোচবিহার। সেখানকার প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষও টেলি কনফারেন্সের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিচ্ছেন। সেই জেলায় এই অন্ধ বিশ্বাসের ঘটনা ভাবাচ্ছে প্রশাসনকে।