এগরায় বিস্ফোরণের রেশ কাটেনি এখনও। তার মধ্যে এবার বজবজে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। তীব্রতা এতটাই যে একটি বাড়ির দোতলার অস্থায়ী ছাউনির একাংশ ধসে গিয়েছে। চারদিকে কাঠকয়লা পড়ে রয়েছে। পুড়ে গিয়েছে ঘরের যাবতীয় জিনিসপত্র। সূত্রের খবর, অন্তত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। দুজন সম্পর্কে মা ও মেয়ে। ঝলসে মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। কিন্তু তারপর পুলিশ অভিযানে নেমে যা পেয়েছে তা চোখ কপালে তুলে দেওয়ার মতো।
পুলিশ ও দমকল এলাকায় গিয়েছে। এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। আর তাতে যা উদ্ধার হল তা চমকে দেওয়ার মতো।
সূত্রের খবর, বিস্ফোরণস্থল থেকে পাওয়া গিয়েছে প্রচুর শব্দবাজি। কিন্তু রাজ্যে তো শব্দ বাজি নিষিদ্ধ। তারপরেও এত শব্দবাজি এখানে এল কীভাবে? তার সঙ্গেই বারুদ জাতীয় উপাদানও মিলেছে। তার সঙ্গে মিলেছে সুতুলি দড়ি। এখানে বাজি মজুত করা হত বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিট নাগাদ আচমকা বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। তারপর দাউ দাউ করে আগুন। সংকীর্ণ রাস্তায় দমকল আসতেই সমস্যা তৈরি হয়েছিল। ওই বাড়িতে দোতলার উপর বাজির গোডাউন তৈরি হয়েছিল বেল খবর। তবে বাস্তলে কী হত এখানে? এখানে কি শব্দ বাজি তৈরি হত? নাকি বাজির আড়ালে তৈরি হত বোমা?
সবটাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সেই সঙ্গেই প্রশ্ন উঠছে পুলিশ কি কিছুই জানত না? স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকায় ঘরে ঘরে বাজি তৈরি হয়। এগরার খাদিকুলের ঘটনার পরে এখানে কি অভিযান হয়েছিল? এখানে অভিযান হলে কি আদৌ এই পরিস্থিতি তৈরি হত?
দমকল আধিকারিক টিকে দত্ত জানিয়েছেন, কী থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে তদন্ত না করে বোঝা যাবে না। ফায়ারের বড় গাড়ি আসতে পারবে না। এখানে ছোট গাড়ি এসেছিল।
এদিকে ইতিমধ্য়েই এই বিস্ফোরণের পরে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছে। কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন, নবজোয়ারে এনিয়ে আলোচনা হবে কি না জানি না। তবে বাংলার মানুষের সুরক্ষা এই সরকারের হাতে কতটা থাকবে তা নিয়ে সংশয়টা থেকেই গিয়েছে। এনিয়ে পালটা তোপ দেগেছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি বলেন, তাপসী মালিককে যে সিপিএম পুড়িয়ে মেরেছিল সেই সিপিএমের মুখে এসব মানায় না। আর অধীর চৌধুরীকেও এসব শোভা পায় না। সরকারি নির্দেশে নিষিদ্ধ শব্দবাজির বিরুদ্ধে বার বারই অভিযান হয়।