বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Bombing: উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ, দফায় দফায় বোমাবাজি, গুলি, মৃত ১, জখম একাধিক

Bombing: উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ, দফায় দফায় বোমাবাজি, গুলি, মৃত ১, জখম একাধিক

মুর্শিদাবাদে বোমাবাজিতে মৃত ১

নাজিরের এক আত্মীয়া বলেন, কীভাবে ঘটনাটা হয়ে গেল বোঝা যাচ্ছে না। ফোনে খবর পেলাম। সেকারণেই ছুটে এলাম। কেন যে কাকুকে এভাবে মেরে ফেলল বুঝতে পারছি না।

পঞ্চায়েত ভোটের দামামা বাজেনি এখনও। তবে তার আগে বোমের আওয়াজ বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে। এবার বোমাবাজি মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায়। তাতে প্রাণ গিয়েছে এক যুবকের। তবে প্রাথমিকভাবে এই ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক কোনও যোগ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মদ্য়পানকে কেন্দ্র করে দুদল যুবকের মধ্যে বিবাদ বেঁধে যায়। তার পরিণতিতেই এই ভয়াবহ ঘটনা। মৃতের নাম নাজির হোসেন। মুর্শিদাবাদ জেলার ফরাক্কার কেন্দুয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। কীভাবে এই ভয়াবহ ঘটনা হল?

স্থানীয় সূত্রে খবর, দুই দল যুবক এলাকায় মদ্যপান করছিল। এদিকে তাদের মধ্যে পুরানো কোনও বিবাদকে কেন্দ্র করে ঝামেলা বেঁধে যায়। তাদের মধ্যে বচসা চলতে থাকে।তারপর শুরু হয় বোমাবাজি। এরপর গুলিও চলে। আর তাতেই প্রাণ যায় যুবকের।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মদ খেয়ে দুদল যুবকের মধ্যে ঝামেলা হয়। তার জেরেই বোমাবাজি শুরু হয় যায়। দুদলেই ১০-১২জন করে যুবক ছিল। আচমকা বোমার আওয়াজ শোনা যায় কেন্দুয়া এলাকায়। এরপর চিৎকার চেঁচামেচির আওয়াজ শোনা যায়। লোকজন ছোটাছুটি শুরু করে দেয়। পরে দেখা যায় মাটিতে পড়ে রয়েছেন নাজির হোসেন। তিনি তৃণমূল কর্মীর ভাই বলে পরিচিত। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। পুলিশ গিয়ে কোনওরকমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এখানেই প্রশ্ন উঠেছে তবে কি পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালানো হয়েছে? বোমাবাজির জন্য বিস্ফোরক কোথা থেকে আনা হল? এলাকায় কি বোমা বাঁধা হয়েছিল? নাকি বাইরে থেকে বোমা আনা হয়েছিল? সবটাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী টহল দিচ্ছে। গোটা এলাকায় তল্লাশিও শুরু হয়েছে।

মৃতের আত্মীয়দের দাবি, পাড়ার কয়েকজনের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল। সেই সময় নাজিরকে নিশানা করে বোমা ছোঁড়া হয়। সেই সময় সে বাড়ি ফিরছিল। এক রাউন্ড গুলিও করা হয়। তারপরই লুটিয়ে পড়ে নাজির। তার দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্তে নেমেছে ফরাক্কা থানার পুলিশ।

নাজিরের এক আত্মীয়া বলেন, কীভাবে ঘটনাটা হয়ে গেল বোঝা যাচ্ছে না। ফোনে খবর পেলাম। সেকারণেই ছুটে এলাম। কেন যে কাকুকে এভাবে মেরে ফেলল বুঝতে পারছি না।

অন্যদিকে খড়গ্রামে এক তৃণমূল কর্মীর ভাইকে গুলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে এক মহিলা জখম হয়েছেন। বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। বিজেপি অভিযোগ মানতে চায়নি।

 

বন্ধ করুন