আজ, বিজয়া দশমী। কিন্তু বনগাঁর হাসপাতালে এখন বন্ধ রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা। আর এই ঘটনার জেরে সমস্যায় পড়েছেন মুমুর্ষু রোগী বলে অভিযোগ। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় হয়ে গিয়েছে। অভিযোগ, মহানবমীর রাতে মদ্যপান করে অ্যাম্বুলেন্স চালকদের বেধড়ক মারধর করেছে একদল যুবক। তাতে তাঁরা বিস্তর জখম হয়েছেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে এখন ফল ভোগ করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এই মদ্যপদের হাতে অযথা হেনস্তার প্রতিবাদে বনগাঁ হাসপাতালে বন্ধ রাখা হয়েছে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা। তাই ভোগান্তির শিকার হন রোগীর পরিজনরা।
এদিকে নবমীর রাতের ঘটনায় দশমীতে বন্ধ রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা। এই ঘটনাটি নিয়ে বনগাঁ হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালকদের অভিযোগ, মহানবমীর রাতে একদল মদ্যপ যুবক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় হাসপাতালে এসে তাণ্ডব চালায়। তখন ওই তাণ্ডবের প্রতিবাদ করতেই বেধড়ক মারধর করা হয়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, দু’জন অ্যাম্বুলেন্স চালককে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। জখম চালকদের নাম মন্টা মণ্ডল এবং বাবু দাস। শ্যামল দাস নামেও একজন আহত হয়েছেন। তারপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে।
অন্যদিকে এই মারধরের ঘটনার প্রতিবাদেই হাসপাতালের রোগীদের অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন চালকরা। সকাল থেকেই তীব্র সমস্যা দেখা দেয়। অনেক অনুরোধ করেও এই প্রতিবাদ আটকানো যায়নি। অ্যাম্বুলেন্স চালকরা কী মানুষ নয়? এমন প্রশ্নও তুলেছেন তাঁরা। অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা বন্ধ করতেই অত্যন্ত সমস্যায় পড়েছেন হাসপাতালে আসা রোগী এবং তাঁদের বাড়ির সদস্যরা। আজ আবার অনেক রোগীর ছুটি হয়ে যায়। সেখানে অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে বিকল্প ব্যবস্থা করতে হয়। বাড়ি ফিরতে না পেরে অনেকে অনুরোধ করতে থাকেন। আসলে দুর্গাপুজোর মধ্যে রাস্তাঘাটেও খুব ভিড়। সেই ভিড় কাটিয়ে নিরাপদে যাওয়ার একমাত্র যানবাহন অ্যাম্বুলেন্স। তাই বিপাকে পড়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: ‘পুরসভার অফিসাররা ২৪ ঘণ্টা কাজ করে’, দুর্গাপুজোর শেষে প্রশংসা করলেন মেয়র
আর কী জানা যাচ্ছে? এই ঘটনা নিয়ে এখনও চাপানউতোর চলছে। কারা মারধর করল চালকদের? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ঘটনাটি নিয়ে লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে পুলিশের কাছে। অ্যাম্বুলেন্স চালকরা জানান, তাঁরা এই মারধরের ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগপত্রে তাঁরা দাবি করেছেন, অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করতে হবে। তাহলেই আবার পরিষেবা চালু করে দেবেন তাঁরা। গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ। কারণ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকতে পারে না এমন জরুরি পরিষেবা। অভিযুক্ত মদ্যপ যুবকদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।