গত ২৭ নভেম্বর হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। অবশেষে নতুন করে গঠিত হল হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের কমিটি। আর সেই কমিটিতে রাখা হয়েছে শুভেন্দুর ভাই তথা তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকে। নতুন কমিটিতে তাঁকে রাখায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দিব্যেন্দু।
এদিকে, হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের নতুন চেয়ারম্যান করা হয়েছে অর্ধেন্দু মাইতিকে। আর এইচডিএ–র ভাইস চেয়ারম্যানের পদ পেলেন সাধন জানা। এর আগে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন ফিরোজা বিবি। পাশাপাশি নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে মেদিনীপুর–খড়গপুর উন্নয়ন পর্ষদেরও (এমকেডিএ)। শিউলি সাহাকে এমকেডিএ–র নতুন চেয়ারপার্সন করা হয়েছে। এই পদে আগে ছিলেন মৃগেন মাইতি। তাঁর মৃত্যুর পর সেই দায়িত্বে পেলেন শিউলি সাহা।
উল্লেখ্য, কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে তাঁর ভাই সৌম্যেন্দু অধিকারীকে সরানোর জেরে বৃহস্পতিবারই তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠিয়েছেন দিব্যেন্দু অধিকারী। তিনি জানতে চেয়েছেন, কোন ‘অপরাধে’ কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে তাঁর ভাইকে সরানো হল? এর প্রতিবাদে কাঁথি পুরসভায় যাওয়া বন্ধও করেছেন দিব্যেন্দু। রাজ্যের সঙ্গে যখন অধিকারী পরিবারের সঙ্ঘাত চরমে তখনই এইচডিএ–র কমিটিতে রাখা হল দিব্যেন্দু অধিকারীকে।
এদিকে, সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি–তে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন যে খুব শিগগরিই তাঁর বাড়িতেও পদ্মফুল ফুটবে। তাই এই মুহূর্তে নতুন জল্পনা— বাড়ির মেজছেলে শুভেন্দুর পথই কি এবার অনুসরণ করবেন বাবা শিশির অধিকারী ও ভাই দিব্যেন্দু ও সৌম্যেন্দু অধিকারী? যদিও সেই সম্ভাবনা এখনই ফেলে দেওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে, সৌম্যেন্দুকে কাঁথি পুরসভার প্রশাসকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন সৌমেন্দ্যু। সেই মামলার শুনানি হবে ৪ জানুয়ারি। আর সৌম্যেন্দুর হয়ে লড়ছেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।