এই বাজেটে আশার আলো নেই। অমাবস্যার অন্ধকার। বীরভূমের সভা থেকে কেন্দ্রীয় বাজেটকে নিশানা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে, আয়কর কমিয়ে কোনও লাভ নেই। এই বাজেটে আশার আলো নেই। অমাবস্যার অন্ধকার। এদিন বক্তব্যের সিংহভাগ জুড়ে তিনি বারে বারে কেন্দ্রীয় বাজেটকে নিশানা করেন।
এদিকে অর্থনীতিবিদদের মতে, এবার আয়করে বড় ছাড় রয়েছে কেন্দ্রীয় বাজেটে। মূলত মধ্যবিত্ত মানুষ এতে উপকৃত হতে পারেন। কার্যত ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে মধ্যবিত্তদের মন জয়ে একেবারে বড় উদ্যোগ কেন্দ্রীয় বাজেটে। অনেকেরই এনিয়ে আগ্রহ ছিল। তবে কেন্দ্রীয় বাজেটে মূলত আয়কর ছাড়ের নিরিখে কিছুটা হলেও আশা পূরণ হয়েছে অনেকের। তবে কেন্দ্রীয় বাজেটকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে একেবারে তুলোধোনা করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বলেন, সেল্ফ হেলফ গ্রুপ করবে বলছে কেন্দ্র। কিন্তু সেটা তো রাজ্য করে। আমরা ক্ষমতায় আসার সময় ছিল ১ লক্ষ। সেটা ১১ বছরে করেছি ১১ লক্ষ। ওইটাকে যুক্ত করে বলছে। তোমার ক্রেডিট কোথায়? কী করেছ আশার জন্য়, আইসিডিএস, বেকার, কৃষকদের জন্য? বাজেটের নামে দরিদ্ররা হয়েছে বঞ্চিত। একাংশ হয়েছে লাভবান। উজ্জ্বলা যোজনায় গ্যাস পাওয়া যাচছে না। আজ পর্যন্ত কোনও কথা রাখতে পেরেছে কেন্দ্রীয় সরকার!
মমতা বলেন, উইপোকা কামড়ালেও চলে আসছে.. তৃণমূল করলে সবাই চোর। নিজেরা বসে আছ ডাকাত সর্দার। তাদের বিরুদ্ধে কী করলে? বিজেপি শাসিত রাজ্য না হলেই বঞ্চনা।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মাটির ঘরে জ্বলে আলো।… টিকটিকি ঢুকলেও এনআইএ ঢুকে যাচ্ছে।
কেন বাংলা থেকে ইনকাম ট্যাক্সের টাকা তুলে নিয়ে যায় কেন্দ্র। আমাদের টাকা আমাদের দেওয়া হচ্ছে না। জিএসটির নামে টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছে। আইসিডিএসে ৬০-৪০ করে দিয়েছে। অনেকে ভেবেছিলেন বন্ধ হয়ে যাবে। আশার মেয়েদের আমরা মাইনে দিতে শুরু করেছি। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কেড়ে নিয়েছে বিজেপি সরকার। সেকারণে বলেছি মাগো সযত্নে আগলে রাখো। কোথায় পাবেন বিনা পয়সায় চিকিৎসা। বললেন নেত্রী।
ফুড সাবসিডি কমিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। বড় কেলেঙ্কারি করে দিয়েছে। সাউথ ইন্ডিয়ায় কিছু জায়গা আছে যেখানে অন্যভাবে টাকা ইনকাম করে। তামিলনাড়ুও ইনকাম করে। কিন্তু আমরা করতে পারি না। জানিয়েছেন মমতা। তাঁর সংযোজন, এতকিছুর পরেও কুৎসাকারী নেতা, খুদকুড়ো খায়নি কখনও…
মমতার হুঙ্কার, ১০০ দিনের কাজের টাকা দিতে হবে। আমরা ভিক্ষে চাই না। এটা আমাদের অধিকার। এনআরসি করতে দেব না। আমাদের দিদির দূতরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে। সবটা হয়তো সম্ভব নয়। আমার এই সব সামাজিক সংস্কার। বাচ্চা জন্মালেই গাছ, স্কুলে গেলেই পোশাক, জুতো, বড় হলেই স্কলারশিপ।