বিশ্বহিন্দু পরিষদ ও বজরং দলকে 'শৌর্য জাগরণ যাত্রা' করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে সচেতনতা ও সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আত্মত্যাগ সম্পর্কে প্রচার করার উদ্দেশে এই যাত্রা আয়োজন করেছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। পুলিশ এই যাত্রা অনুমতি দেয়নি। সংগঠনগুলির পক্ষে 'শৌর্য জাগরণ যাত্রা' অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনজন। সেই মামলায় বুধবার রায় দিল বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর বেঞ্চ।
এর আগে মঙ্গলবার বিচারপতি আবেদনকারীদের যে সব জেলা এই 'শৌর্য জাগরণ যাত্রা' যাবে তার রুট ম্যাপ জমা দিতে বলেন।
মঙ্গলবার শুনানিতে বিশ্বহিন্দু পরিষদের আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, 'বিশ্বহিন্দু পরিষদ ও বজরং দল প্রতিবছর এমন মিছিল ও সমাবেশ করে। জলপাইগুড়ি থেকে একটি মিছিল আসবে। সার্কিট বেঞ্চ ইতিমধ্যেই অনুমতি দিয়েছে। দেশের বীর শহিদদের কথা স্মরণ করে এই সমাবেশ হচ্ছে। সারা দেশে জুড়ে এই সমাবেশ হচ্ছে।'
বিচারপতি জানতে চান, জাতীয় সড়ক দিয়ে এই মিছিল আসবে কি না?
(পড়তে পারেন। বিধাননগরের স্টেশন মাস্টারকে নোটিশ দিল কলকাতা পুরসভা, কেন এমন ঘটল?)
উত্তরে এডুলজি গত সপ্তাহে আদিবাসী মিছিল প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ওই মিছিলের জন্য গোটা শহর স্তব্ধ হয়ে গেল। রাজ্য ও জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। রাজ্যের আইনজীবী সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, 'ওই মিছিলের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়নি।' তখন বিচারপতি প্রশ্ন করেন, 'তাহলে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন?' জবাবে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, 'অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।' হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির মিছিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন,'বিশ্বহিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের সদস্যরা রথ, বাইক নিয়ে মিছিল করবে। এখন পুজোর মরসুম। মানুষ বাজার করতে যাবেন। তাছাড়া স্পর্শকাতর এলাকা দিয়ে গেলে সমস্যা তৈরি হতে পারে।' মিছিলের শেষে রানি রাসমণি রোডে একটি সভাও হবে।
বিচারপতি তখন মিছিল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চান। নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তাও জানতে চান। বুধবারের মধ্যে তা জমা দিতে বলেন।
বুধবার সব দিক খতিয়ে দেখে 'শৌর্য জাগরণ যাত্রা'র অনুমতি দিয়েছে আদালত।