শুক্রবার সকালেই কয়লা পাচারকাণ্ডে ফের অভিযান শুরু করল সিবিআই। বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের তৎপরতা শুরু হয়েছে রাজ্যে। সূত্রের খবর, কলকাতা, পুরুলিয়া, আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান এবং বাঁকুড়ার মোট ১৩টি জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আবার প্রধান অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালা ও তাঁর সঙ্গী রত্নেশ বর্মার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্য আসানসোলের বিশেষ আদালতে আবেদন করেছে সিবিআই। যদিও আদালত এই নিয়ে চূড়ান্ত কোনও রায় দেয়নি।
সিবিআইয়ের একটি সূত্র থেকে পাওয়া খবর, বৃহস্পতিবার বেশি রাতে কয়লা পাচারচক্রের মাথা অনুপ মাঝি ওরফে লালার শ্বশুরবাড়িতে হানা দেয় সিবিআই আধিকারিকরা। সেখান থেকে পাওয়া সূত্র ধরেই আজ আসানসোলে জয়দেব মণ্ডলের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। পুরুলিয়ার সাতোরিয়ার বলিতোড়ায় লালা-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী গুরুপদ মাজির বাড়ি–অফিসে হানা দিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। এই দুই ব্যক্তিই কয়লা সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত।
উল্লেখ্য, গত ১১ জানুয়ারি একটি নোটিস জারি করেছিল আদালত। সেখানে বলা হয়েছিল, ১১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দু’জনকেই আসানসোল সিবিআই আদালতে হাজিরা দিতে হবে। হাজিরা না দিলে আইন অনুযায়ী তাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। গত ১৪ জানুয়ারি সেই নোটিস প্রথমে সিবিআইয়ের ন'জনের একটি দল পুরুলিয়ার নিতুরিয়ার ভামুরিয়াতে লালার বাড়ির দেওয়ালে লাগিয়ে দিয়ে এসেছিলেন। সেদিন সিবিআইয়ের চারজন অফিসারের একটি দল হীরাপুরের বড়তোড়িয়ায় রত্নেশ ভার্মার বাড়িতে আসে। সেখানেও সিবিআইয়ের অফিসাররা রত্নেশ ভার্মাকে পায়নি। তাই রত্নেশের বাড়ির দেওয়ালে নোটিস লাগিয়ে দিয়ে এসেছিলেন।