গরুপাচারকাণ্ডের তদন্তে এবার অনুব্রত মণ্ডলের ছায়াসঙ্গী সায়গল হোসেনের বাড়িতে পৌঁছল সিবিআই। সায়গলের সম্পত্তির হদিশ পেতে তদন্তকারীরা সেখানে পৌঁছেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। বাড়িতেই সায়গলকে জেরা করছেন গোয়েন্দারা।
গরুপাচারকাণ্ডের তদন্তে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে এর আগে ২ বার জেরা করেছে সিবিআই। অভিযোগ, অনুব্রতর কালো টাকার একাংশ জমা রয়েছে সায়গলের কাছে। মুর্শিদাবাদের ডোমকলের বাসিন্দা সায়গলের মোট ৩টি বাড়ি রয়েছে। একজন দেহরক্ষীর কী করে এতগুলো বাড়ি হতে পারে তা জানতে বুধবার ডোমকলে পৌঁছেছেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা।
গরুপাচারকাণ্ডের তদন্তে সিবিআইয়ের একের পর এক জেরা এড়িয়েছেন অনুব্রত। গত ১৯ মে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন তিনি। ৪ ঘণ্টা জেরার পর ডক্তার দেখাতে SSKM হাসপাতালে চলে যান তিনি। তার পরও সিবিআই একাধিক তলব পাঠালেও অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা দেননি বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি।
সিবিআই সূত্রের খবর, অনুব্রতর ছায়াসঙ্গী সায়গলের জীবনযাত্রা চোখে পড়ার মতো। অনুব্রত কোথায় যেতেন? কাদের সঙ্গে দেখা করতেন? তাদের সঙ্গে কী লেনদেন হত? এসব তথ্য রয়েছে সায়গলের কাছে। এমনকী অনুব্রতর কালো টাকার একাংশ বেনামে জমা রয়েছে সায়গলের কাছে। সেই টাকাতেই বিলাসবহুল জীবন যাপন করেন তিনি।
গত ২৭ এপ্রিল বীরভূমের ইলামবাজারে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় একটি গাড়ি। তাতে মৃত্যু হয় সায়গল হোসেনের শিশুকন্যা ও তাঁর এক বন্ধুর। ওই গাড়ির পিছনের গাড়িতেই ছিলেন সায়গল। অনেকের দাবি, সেদিন সায়গলকেই খুনের পরিকল্পনা ছিল।