রামপুরহাট গণহত্যা নিয়ে এখনও অনেক জট রয়েছে। সেই জট ছাড়াতে আজ, শুক্রবার বগটুই গ্রামে নয়াদিল্লি থেকে আসছে সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির টিম। তাঁরা এখানে এসে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করবেন। তাঁদের সঙ্গে থাকবেন সিটের আধিকারিকরাও। এখানে এখন মূল দুটি প্রশ্ন উঠেছে। এক, আগুন কীভাবে লাগানো হয়েছিল? দুই, আগুন লাগানোর আগে অত্যাচার হয়েছিল কী? এইসব প্রশ্নের উত্তর জানতে আসছেন তাঁরা।
গত বুধবারই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ সময় নষ্ট না করে ফরেনসিক টিমকে বগটুই গ্রামে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। গোটা এলাকায় সিসিটিভি দিয়ে মুড়ে ফেলারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এবার সেই নির্দেশ মতোই আসছে ফরেনসিক টিম। এই রিপোর্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক পদক্ষেপ করেছেন এবং নিজের দলের ব্লক সভাপতিকে গ্রেফতার করিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এখানে পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হওয়ার পর থেকে তেতে ওঠে বগটুই গ্রাম। একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ। তাতেই ৮ জনের প্রাণ গিয়েছে। এখানে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। এই ঘটনার পর নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন কেন্দ্রীয় ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। এখানে কীভাবে আগুন লাগল? তা জানতেই আবার আসছে কেন্দ্রীয় ফরেনসিক টিম।
তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন গ্রেফতার করা হলেও স্বাভাবিক ছন্দে ফেরেনি বগটুই। এখানে আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামবাসীরা। অনেকেই বাড়ি থেকে বেরোনো বন্ধ করে দিয়েছে। সেই ভয়ঙ্কর রাত চোখের সামনে ভাসছে। তাই বগটুই গ্রামে এখন অদ্ভূত স্তব্ধতা গ্রাস করেছে। চারিদিকে টবল দিচ্ছে বিশাল পুলিশবাহিনী।