কেন্দ্রের কর্মীবর্গ ও প্রশিক্ষণ দফতরের নির্দেশ মতো সোমবার দিল্লিতে যাননি। সেজন্য পশ্চিমবঙ্গের সদ্য প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ‘উপযুক্ত ব্যবস্থা’ নেওয়ার ভাবনাচিন্তা করছে কেন্দ্র। এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রের এক আধিকারিক।
নাম গোপন রাখার শর্তে ওই কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে আলাপনবাবুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। তিনি বলেছেন, ‘আলাপনবাবুকে শো-কজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নির্দেশ অমান্য করার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার ভাবনাচিন্তা করছে কেন্দ্রের কর্মীবর্গ ও প্রশিক্ষণ দফতর।’
যদিও সোমবার বিকেলে নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, কোনও শো-কজ নোটিশ পাননি আলাপনবাবু। মমতা বলেন, ‘এসব তথ্য আমাদের কাছে নেই। যিনি ইতিমধ্যে অবসর নিয়েছেন, তাঁর ক্ষেত্রে এগুলি মনে হয় আইনত প্রয়োজ্য নয়। এসব কোনও চিঠি আমাদের কাছে আসেনি। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে একটাই চিঠি এসেছে। সেটার বিষয়ে আপনাদের বলে দিলাম।’
এমনিতে ৩১ মে অবসর নেওয়ার কথা ছিল ১৯৮৭ ব্যাচের আইএএস অফিসার আলাপনবাবুর। কিন্তু করোনাভাইরাস এবং ঘূর্ণিঝড় ইয়াস-ভরা কোটালের পরিস্থিতিতে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ তিন মাস বৃদ্ধির আর্জি জানান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বাংলার সেই আর্জিতে ছাড় দেয় কেন্দ্র। কিন্তু তিনদিনের মাথায় পট-পরিবর্তন হয়। কলাইকুন্ডায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াস নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পর্যালোচনা বৈঠকের পর থেকে আলাপনবাবুর বদলি নিয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্যের সংঘাত চরমে ওঠে। সোমবার সকাল ১০ টায় নয়াদিল্লিতে নর্থ ব্লকে আলাপনবাবুকে ডেকে পাঠায় কেন্দ্র। আলাপনবাবুরে রাজ্যের মুখ্যসচিব পদে রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠিও পাঠান মমতা। সেই পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লিতে যাননি আলাপনবাবু। বরং বিকেলে মমতা জানান, অবসর নিয়েছেন ১৯৮৭ ব্যাচের আইএএস অফিসার। মঙ্গলবার (১ জুন) থেকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন তিনি।