ঘূর্ণিঝড় ইয়াস বিধ্বস্ত দিঘাকে আবার নতুন করে সাজাতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার।এবার দিঘা উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ ফাঁকা পড়ে আছে। সেই দায়িত্ব দেওয়া হল রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
রাজ্যে পর্যটনস্থলগুলির মধ্যে অন্যতম আকর্ষণ দিঘা। সেই দিঘা ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে একেবারে তছনছ হয়ে গিয়েছে। দিঘাকে যাতে সুন্দরভাবে সাজিয়ে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায়, সেই কারণেই প্রশাসনিকভাবে আরও সক্রিয় হওয়ার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।|
এদিন উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করার পর দিঘায় যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিঘার পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করলেন তিনি।এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন,‘দিঘায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।এখন দিঘা উন্নয়ন পর্ষদের কোনও চেয়ারম্যান নেই।এই পরিস্থিতিতে দিঘা উন্নয়ন পর্ষদের দায়িত্ব মুখ্যসচিবকে দিলাম।কারণ, দিঘার যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাতে নতুন করে পরিকল্পনা করতে হবে।’
দিঘায় প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,‘সাগর, নামখানা, পাথরপ্রতিমা ঘুরে আমরা কলাইকুণ্ডায় গিয়েছিলাম।প্রধানমন্ত্রী একটা বৈঠক ডেকেছিলেন।কিন্তু দিঘায় আগাম বৈঠক ডাকা হয়ে গিয়েছিল।তাই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে থাকতে পারিনি।’ একইসঙ্গে তিনি জানান,‘আমাদের যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার একটি রিপোর্ট আমি আর মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে এসেছি।বলেছি, আপনি যা ভালো বুঝবেন করবেন।’
এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, রিপোর্টে ২০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজের কথা বলা হয়েছে।কেন্দ্রের সাহায্য পেলে তা অবশ্য বাস্তবায়ন সম্ভব।তিনি জানান, দিঘার উন্নয়নের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার যদি একটি প্যাকেজ করা যায়, তাহলে খুব ভালো হয়।পাশাপাশি সুন্দরবনের উন্নয়নের জন্য যদি আরো ১০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ করা যায়, তাহলে অনেকটাই সুবিধা হবে। এদিন পূর্ব মেদিনীপুরে এসে ক্ষতিগ্রস্ত ব্লকগুলির বিডিওদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তাণ্ডবে দিঘার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।দিঘার সমুদ্র সৈকতের বাঁধানো পাড় ভেঙে গিয়েছে।তছনছ হয়ে গিয়েছে দোকানপাট।অনেক হোটেলের একতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দিঘার পাশাপাশি মন্দারমণি, তাজপুর, শঙ্করপুরেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।এই সব এলাকায় সাজানো অনেক রিসর্ট মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।ঘরবাড়ি জলে তোলে ভেসে গিয়েছে।ঘরছাড়া বহু মানু্ষ।