মদ্যপদের হাতে আক্রান্ত হলেন এক সিভিক ভলেন্টিয়ার। তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। এই মারধরের জেরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কর্তব্যরত অবস্থায় বেধড়ক মারধর করার জেরে তিনি গুরুতর জখম হয়েছেন। নদিয়া শান্তিপুর থানার বেলডাঙ্গা মোড়ে এই ঘটনা ঘটেছে। তবে ঘটনার পর চম্পট দেয় অভিযুক্তরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শান্তিপুর থানার সিভিক ভলেন্টিয়ার রতন বিশ্বাস রাস্তায় ডিউটি করছিলেন। বেলডাঙা মোড়ের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ট্রাফিক কাজে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। বুধবার সন্ধ্যেবেলা কয়েকজন যুবক মদ্যপ অবস্থায় টোটো নিয়ে সেখান দিয়ে যাচ্ছিল। তখন রাজু দেবনাথ ও সুমন দেবনাথ নামে দুই মদ্যপ যুবকের সঙ্গে বচসা হয় ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারের।
তখন পরিস্থিতি অনুকূল নয় বুঝতে পেরে তারা ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যায়। ঠিক কুড়ি মিনিট পর দলবল নিয়ে তারা সেখানে ঝাঁপিয়ে পড়ে। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে বেধড়ক মারতে থাকে সিভিক ভলেন্টিয়ার রতন বিশ্বাসকে। রতনবাবু তখন চিৎকার শুরু করেন। এই দেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত যুবকরা। ঘটনাস্থলে আসে শান্তিপুর থানার পুলিশ। ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে।
এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ। জখম সিভিক ভলেন্টিয়ার রতন বিশ্বাস বলেন, ‘আমি ডিউটি করছিলাম। হঠাৎ দেখি ভিতরের রাস্তায় একটি দুর্ঘটনা ঘটে। তাই বড় কয়েকটি লরিকে ভিতরের রাস্তা দিয়েই নিয়ে যাচ্ছিলাম। এবার লরি পাস করানোর জন্য রাস্তা আটকে ছিল কিছুক্ষণ। ওই টোটোতে দু’জন মদ খেয়ে ছিল। ওদের আমি দাঁড় করিয়েছিলাম। তাই আমায় গালাগাল এবং দলবল নিয়ে এসে মারধর করে।’