বিজেপির নবান্ন অভিযানে লোক হয়নি। তাই এই অভিযানকে গুরুত্ব দিতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এই আন্দোলনের নামে গুন্ডামি করেছে বিজেপি। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করেছে। এমনকী বিজেপি কর্মীরা ব্যাগে করে বোমা এনেছিলেন বলেও দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তা নিয়ে এখন তোলপাড় রাজ্য–রাজনীতি।
ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? আজ, বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি সাফ বলেন, ‘নবান্ন অভিযানের নামে গুন্ডামি করা হয়েছে। গতকালের ঘটনায় মানুষ হয়রানির শিকার হয়েছেন। অনেক পুলিশ আহত হয়েছেন। যারা অশান্তি ছড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ চাইলে গুলি চালাতে পারত। তবে সেটা কাম্য নয়। পুলিশ সংযতভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে। কিন্তু ব্যাগে করে বোমা আনা হয়েছিল। আন্দোলনের নামে সমাজবিরোধী কাজ করা হয়েছে। রাজনীতিতে সমাজবিরোধী কাজ শোভা পায় না। গতকালের বিজেপির নবান্ন অভিযানে বড়বাজারে ব্যবসা নষ্ট হয়েছে। তবে যারা গাড়ি পুড়িয়েছে, পুলিশকে মারধর করেছে, তাদের জন্য আইন আইনের পথে চলবে।’
কতটা আক্রান্ত হয়েছে পুলিশ? আজ, বুধবার নিমতৌড়িতে প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে পুলিশকর্মীদের শরীর স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন তিনি। আর তখনই নবান্ন অভিযানের প্রসঙ্গ তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘নবান্ন অভিযানে এসিপি আক্রান্ত হয়েছেন। জগাছার এক পুলিশ কর্মীর চোখ নষ্ট হতে বসেছে। পুলিশের গাড়িতে আগুন দিয়েছে। নবান্ন অভিযানে পুলিশ চাইলে গুলি চালাতে পারত।’
আর কী জানা যাচ্ছে? তমলুকের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে দিঘা মেরিন ড্রাইভের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিঘা এখন আন্তর্জাতিক টুরিস্ট স্পট। দিঘা থেকে শংকরপুর হয়ে মন্দারমনি পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ দিয়ে যাওয়া যাবে। দিঘায় দুর্ঘটনা বেড়েছে। তাই সতর্ক থাকতে হবে বলে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। আমলাদের নোট টু সাকসেসার লিখে যেতে হবে। যাতে বদলির পর ওই নোট পরবর্তী আমলাদের কাজে সাহায্য করে। দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদে আগে অনেক অনিয়ম হয়েছে। তাই পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসককে সতর্ক থাকার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাজপুরে বন্দর তৈরি হলে অনেক কর্মসংস্থান হবে এবং নয়াচরে ইকো–হাব তৈরি হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।