একুশের নির্বাচনের আগে সাগরে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পৃথক জেলা করে উন্নয়ন করার কথা বলেছিলেন। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। সেখানের উন্নয়নে বহুদিন আগে থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার হাত লাগিয়েছেন। এবার বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রশাসনিক বৈঠক করতে সাগরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি বলে খবর।
নবান্ন সূত্রে খবর, বেশ কয়েকটি প্রকল্পের তালিকা তৈরি হয়েছে—একাধিক রাস্তা, নতুন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, স্টেডিয়াম–সহ প্রকল্প ব্যয় আড়াইশো কোটি টাকা লগ্নির সম্ভাবনা রয়েছে। এখানে মুখ্যমন্ত্রীর হাত দিয়ে যে সব প্রকল্পের সূচনা হওয়ার কথা, তার মধ্যে বেশিরভাগই রয়েছে সুন্দরবন ব্লকে। কারণ একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগে সুন্দরবন এলাকা বিধ্বস্ত হয়েছে। এখানের উন্নয়নের কথা আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিপদের সময় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে তাঁর সরকার।
এই পরিস্থিতিতে ক্যানিং ১ ও ২, বাসন্তী, সাগর–সহ বেশ কিছু ব্লকে রাস্তা সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এমনকী ডায়মন্ডহারবার স্টেডিয়ামেরও উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। মগরাহাট এবং কুলপি ব্লকে কয়েকটি কর্মতীর্থ উদ্বোধন করা হবে। আর সাগর, বাসন্তী–সহ বেশ কয়েকটি ব্লকে বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের প্রকল্পের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে তাঁর। একইসঙ্গে মহকুমা হাসপাতালগুলিতে যে অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানো হয়েছে, তারও উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করার পাশাপাশি বিষ্ণুপুর ২ এবং বজবজ অঞ্চলে আর্সেনিকমুক্ত জল দেওয়ার প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে। বুধবার তার ভিত্তিস্থাপন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে কমপক্ষে আট লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন। ব্লকে জল সংরক্ষণের জন্য রিজার্ভার তৈরি হবে। সেই ঘোষণাও হতে পারে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে। উল্লেখ্য, দিঘাকে যেভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে সেভাবেই সুন্দরবনকে সাজিয়ে তোলা হবে। যাতে এখানে পর্যটন মার না খায়। আর সাধারণ মানুষ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হন।