রাজপুর-সোনারপুর পুরসভায় কো-অর্ডিনেটর বদল নিয়ে দ্বন্দ্ব তৃণমূলের অন্দরে

রাজ্যের বাকি পুরসভাগুলোতে ভোটের জল্পনা চলছে। তারই মধ্যে কো-অর্ডিনেটর বদল নিয়ে প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের অন্দরের দ্বন্দ্ব। রাজপুর-সোনারপুর পুরসভায় তৃণমূলের এই অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে।

 রাজপুর-সোনারপুর পুরসভায় কো-অর্ডিনেটর বদল নিয়ে অন্তর্দ্বন্দ্ব তৃণমূলে।(ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য পিটিআই)

রাজ্যের বাকি পুরসভাগুলোতে ভোটের জল্পনা চলছে। তারই মধ্যে কো-অর্ডিনেটর বদল নিয়ে প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের অন্দরের দ্বন্দ্ব। রাজপুর-সোনারপুর পুরসভায় তৃণমূলের এই অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে।

তৃণমূল সূত্রের খবর, রাজপুর-সোনারপুর পুরসভা অন্তর্গত ১৮ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৪ টি ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর বদল করা হয়েছে। এই ওয়ার্ডগুলি পড়ছে সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে। কো-অর্ডিনেটর বদলের ফলে বাদ পড়েছেন বর্ষিয়ান তৃণমূল নেতা কানাই ঘোষ। তিনি পুরসভার প্রশাসকমন্ডলীর সদস্য কুহেলি ঘোষের বাবা। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে এসেছে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব।

পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর ছিলেন কানাই ঘোষ। কিন্তু তাঁর নাম কো-অর্ডিনেটর থেকে বাদ পড়ায় স্বাভাবিকভাবেই দলের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়েছেন প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য কুহেলি ঘোষ। তিনি এ নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক অরুন্ধতী মৈত্র ওরফে লাভলী মৈত্রের বিরুদ্ধে। তার অভিযোগ, 'বিধায়ক একতরফাভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর নির্দেশেই কো-অর্ডিনেটর থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে তার বাবাকে।' তাঁর সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা না করেই বিধায়ক এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বেজায় চটে গিয়েছেন কুহেলি ঘোষ।

যদিও এই অভিযোগ নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ বিধায়ক। তাঁর দাবি, 'কয়েক মাসের মধ্যেই পুরভোট হতে চলেছে। এই অবস্থায় সক্রিয়ভাবে জনসংযোগ বাড়ানো উচিত। কিন্তু বার্ধক্যজনিত কারণে অনেকেই সক্রিয় ভাবে সেই কাজে অংশ নিতে পারছেন না। তাই তাঁর বিরুদ্ধে যে ক্ষমতা প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে তা ঠিক নয়।'