কোচবিহারের খাপাইডাঙায় গণধর্ষণে কিশোরীর মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ সুপারের অফিস অভিযান করল বিজেপি। বৃহস্পতিবার এই কর্মসূচিকে ঘিরে পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে ধুন্ধুমার বেঁধে যায়। শেষে বাধা পেয়ে পুলিশ সুপারের অফিসের কিছু দূরে অবস্থানে বসেন বিজেপির নেতা কর্মীরা।
গত ১৮ জুলাই স্কুল থেকে ফেরার পথে নবম শ্রেণির পড়ুয়া ওই নাবালিকাকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। এর পর তাঁকে ৫ জন যুবক মিলে গণধর্ষণ করে বলে জানিয়েছে পরিবার। ধর্ষণের জেরে নাবালিকা অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারকে না জানিয়েই তাঁকে একটি স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার ২ দিন পর নাবালিকার খোঁজ পায় পরিবার। তার পর তাঁকে এনে মহারাজা জিতেন্দ্র নারায়ণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৬ জুলাই সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এদিন অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে পুলিশ সুপারের অফিস অভিযান করে বিজেপি। প্রথম ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায় তারা। দ্বিতীয় ব্যারিকেডে তাঁদের আটকান পুলিশ কর্মীরা। এর পর দুপক্ষের মধ্যে কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তি হয়। তার পর ব্যারকেডের সামনে অবস্থান শুরু করে বিজেপি।
জেলা বিজেপি সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, ‘মূল অভিযুক্তদের পুলিশ গ্রেফতার করেছে বটে, কিন্তু কাদের চাপে মেডিক্যাল কলেজে না নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে ২ দিন স্থানীয় হাসপাতালে ফেলে রাখা হল? তাদের কেন চিহ্নিত করছে না পুলিশ? তারাও নাবালিকার মৃত্যুর জন্য সমান দায়ী। সময় মতো কোচবিহারে আনতে পারলে নাবালিকাকে হয়তো বাঁচানো যেত।’