বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Santragachi Bridge: টানা দেড় মাস বন্ধ থাকবে সাঁতরাগাছি সেতু, কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল?‌

Santragachi Bridge: টানা দেড় মাস বন্ধ থাকবে সাঁতরাগাছি সেতু, কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল?‌

সাঁতরাগাছি সেতু।

সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, কোনা এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে দৈনিক ৭০ হাজার গাড়ি চলে। এই তথ্যে চিন্তিত খোদ হাওড়া সিটি পুলিশের কর্তারা। তবে হাওড়া সিটি পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশ যৌথভাবে গোটা পরিকল্পনাটি ছকে ফেলেছে। সেতু বন্ধ থাকলে যানজট এড়ানো কি সম্ভব হবে?‌ উঠছে প্রশ্ন।

হাতে আর দু’‌দিন বাকি নভেম্বর মাস পড়তে। আর নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে দেড় মাস বন্ধ থাকবে সাঁতরাগাছি সেতু। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই এখন জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় দেড় মাস ধরে চলবে সেতুর মেরামতি। ইতিমধ্যেই সেখান দিয়ে যাতায়াতকারী গাড়ির সমীক্ষা করল পুলিশ। সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, কোনা এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে দৈনিক ৭০ হাজার গাড়ি চলে। এই তথ্যে চিন্তিত খোদ হাওড়া সিটি পুলিশের কর্তারা। তবে হাওড়া সিটি পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশ যৌথভাবে গোটা পরিকল্পনাটি ছকে ফেলেছে। সেতু বন্ধ থাকলে যানজট এড়ানো কি সম্ভব হবে?‌ উঠছে প্রশ্ন।

কেন এমন ঘটতে চলেছে?‌ কোনা এক্সপ্রেসওয়ের উপর সাঁতরাগাছি রেল সেতুর গার্ডার বদলানো হবে। আর মেরামতির সিদ্ধান্ত হয়েছে। হাওড়া সিটি পুলিশ সূত্রে খবর, এবার সেই কাজ শুরু হবে নভেম্বর মাসে। কিন্তু সাঁতরাগাছি সেতু দিয়ে যত যানবাহন চলে, সেগুলিকে কোন রাস্তা দিয়ে ঘোরানো সম্ভব? এই কারণে সমীক্ষা চালায় হাওড়া সিটি পুলিশ। এই সমস্যার সমাধানে বৈঠকে বসতে চলেছেন এডিজি ট্র‌্যাফিক সুপ্রতিম সরকার। বিপুল পরিমাণ ট্রাক এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করে। সেগুলি ঘোরানো নিয়েই বৈঠক হবে। সেখানে পূর্ত দফতরও উপস্থিত থাকবে।

কী বলছেন পুলিশ কমিশনার?‌ হাওড়া সিটি পুলিশ কমিশনার প্রবীণকুমার ত্রিপাঠীর নেতৃত্বে সিটি পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা সাঁতরাগাছি সেতু ও কোনা এক্সপ্রেসওয়ে পরিদর্শন করেন। প্রবীণকুমার ত্রিপাঠী বলেন, ‘চার লেনের রাস্তা সাঁতরাগাছি সেতুতে গিয়ে দু’লেন হয়ে গিয়েছে। তাই সেতুতে গাড়ির প্রচুর চাপ থাকে। যানবাহনকে সেতু মেরামতের সময় কোথা দিয়ে ঘোরানো হবে বা কীভাবে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করা হবে এখন সেটাই সরেজমিন খতিয়ে দেখা হয়েছে।’‌

যানজট এড়াতে ও কাজ করতে কী করা হবে?‌ এই বিষয়ে ডিসি ট্র‌্যাফিক (‌হাওড়া)‌ অর্ণব বিশ্বাস বলেন, ‘‌আমরা ৮০০ পুলিশকর্মী মোতায়েত করব এক্সপ্রেসওয়ে এবং সংলগ্ন এলাকায়। এছাড়া গার্ডরেল, ভ্যান রাখা থাকবে। যাতে কোনও সমস্যা হলে এবং যানজট হলে নোকাবিলা করা যায়।’‌ উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে একবার সব গার্ডার মেরামত করা হয়। ৬ বছর পর সেগুলি ফের মেরামতির প্রয়োজন আছে বলে রাজ্য পূর্ত দফতর ও কেএমডি–এর ইঞ্জিনিয়াররা রাজ্য সরকারকে জানিয়েছেন।

বন্ধ করুন
Live Score