বিহারের নির্বাচনী সভায় যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, প্রত্যেক ভারতীয়কে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হবে। তার আগে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল, করোনার টিকা প্রথমে পাবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। সেই তালিকা প্রস্তুত করতে হবে রাজ্যকেও। তবে এই তালিকায় পুলিশ–প্রশাসনের সামনের সারিতে থেকে কাজ করা করোনা–যোদ্ধাদের নাম দেওয়া যাবে না। অথচ তাঁরাও গত সাত মাস করোনা মোকাবিলার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।
এই বিষয়ে রাজ্যগুলিকে কেন্দ্র জানিয়েছে, করোনা চিকিৎসার সঙ্গে সরাসরি যুক্তরাই প্রারম্ভিক পর্বে টিকা পাবেন। চিকিৎসক, নার্স, চিকিৎসাকর্মী, টেকনিশিয়ান–সহ হাসপাতালের মধ্যে নানা কাজে যুক্ত থাকা কর্মীদেরও প্রাথমিক টিকার তালিকাভুক্ত করা যাবে। কিন্তু পুলিশ, পরিযায়ী শ্রমিকরা কেন অগ্রাধিকার পেল না? এই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এমনকী ক্ষোভও তৈরি হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত প্রায় সাত মাসে সামনের সারিতে থেকে কাজ করে প্রাণ হারানো করোনা–যোদ্ধাদের তালিকায় চিকিৎসক, চিকিৎসাকর্মী ছাড়াও রয়েছেন পুলিশ এবং সাধারণ প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। লকডাউন পর্বে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশাও কম হয়নি। কলকারখানার শ্রমিক, কৃষক থেকে গরিব মানুষ প্রথমসারিতে থেকে করোনা মোকাবিলা করেছেন। কিন্তু কেন্দ্রের কাছে আজ তাঁরা ব্রাত্য বলে অভিযোগ বিরোধীদের।
এটাই চিন্তা বাড়াচ্ছে প্রশাসনের। তাই টিকা বরাদ্দের ক্রমতালিকা তৈরিতে আগেভাগে প্রস্তুত থাকতে চাইছে রাজ্য। যদিও করোনা চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসক–চিকিৎসাকর্মীদের পাশাপাশি করোনা–ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত পুলিশ এবং সাধারণ প্রশাসনের কর্মী–আধিকারিকদেরও সামনের সারিতে থাকা যোদ্ধা হিসেবেই বিবেচনা করেছে রাজ্য প্রশাসন। সরকারি স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছেন, টিকা প্রদানের পরবর্তী ধাপ থেকে পর্যায়ক্রমে তাঁদেরও তালিকাভুক্ত করার সুযোগ হয়ত দেবে কেন্দ্র।