ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে করোনা। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিনই রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় তিন হাজার জন। স্বাভাবিকভাবেই এনিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্যকর্তারা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিভিন্ন সভায় এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এবার করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, বেশ কয়েকদিন ধরে সেখানকার কর্মী, শিক্ষক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। সংক্রমণে লাগাম টানতে গত ১১ জুলাই পিয়ারসন মেমোরিয়াল হাসপাতালের আধিকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বৈঠকে বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক এবং কর্মচারীদের করোনা বিধি মেনে চলা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অর্থাৎ শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী এবং কর্মচারীদের মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার করার পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব ক্যাম্পাস চত্বরে মেনে চলতে হবে বলে নির্দেশিকা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও কর্মী, শিক্ষক বা পড়ুয়ার উপসর্গ দেখা দিলে ওই হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
এছাড়া, পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার আগে টিকা নেওয়ার শংশাপত্র নিয়ে যেতে হবে বলে বাধ্যতামূলক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর পাশাপশি, বিশ্ব বিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ এবং ভবনে দর্শনার্থীদের প্রবেশও নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পর্যটক এবং দর্শকদের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তাদের নজরদারি রাখতে বলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আশা এর ফলে ক্যাম্পাসে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে।