বিধায়কদের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে এতদিন তৃণমূলের বিধায়কদের নিশানা করা হচ্ছিল। এবার রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূলের সেই বিধায়করাই কংগ্রেস ও সিপিএমের একাধিক নেতাদের কথা উল্লেখ করেছেন যাঁদের নাম ওই তালিকায় রয়েছে বলে শাসকদলের দাবি। সেই সাংবাদিক বৈঠকে ফিরহাদ হাকিম, ব্রাত্য বসু প্রমুখ ছিলেন। ব্রাত্য বসুর দাবি, সেই তালিকায় নাম রয়েছে বাম নেতা, প্রাক্তন বিধায়ক, প্রাক্তন মন্ত্রী তথা শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের। এবার তৃণমূল নেতৃত্বের সেই দাবির পালটা জবাব দিলেন প্রবীন বাম নেতা অশোক ভট্টাচার্য।
সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, অনেক সময় চোরেরাও চোর চোর বলে চিৎকার করে। এটা একটা কৌশল। আমি ২০ বছর মন্ত্রী ছিলাম। সূর্য মিশ্রও মন্ত্রী ছিলেন। আমি আবার বিধায়ক হয়েছিলাম। মেয়র হয়েছিলাম। আমাদের কী সম্পত্তি, কী আয় হয় সবটাই আমরা হলফনামায় দিয়ে থাকি। বিধানসভাতেও তারা এই প্রসঙ্গ তুলতে পারতেন। কোনওদিন তোলেননি তো। প্রশ্ন শিলিগুড়ির বামনেতা অশোক ভট্টাচার্যের।
অন্যদিকে সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন,নিজেদের অপকীর্তি ঢাকার জন্য এখন দু চারটে নাম যুক্ত করে দিয়েছে। কোর্ট তো আছে।ব্রাত্য বসু কী বলেছেন তা নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। আদালত সিদ্ধান্ত নেবে।এ তো চোরের মায়ের বড় গলা। এদের তো জেলে দেওয়া উচিত। এদের জবাব কী দেব?
তবে তৃণমূল নেতৃত্বের নিশানায় অধীর চৌধুরী, আবু হেনা, সূর্যকান্ত মিশ্রের। নাম রয়েছে অশোক ভট্টাচার্য, কান্তি গঙ্গোপাধ্য়ায়, নেপাল মাহাতো, মোহিত সেনগুপ্তর। এবার একে একে তৃণমূলের সেই অভিযোগের জবাব দিচ্ছেন বিরোধী নেতৃত্ব।