Durgapur: কয়লা উত্তোলনের সময় ইসিএলের খনিতে বিস্ফোরণ, ফাটল ধরল একাধিক বাড়িতে

এই ঘটনার জন্য স্থানীয়রা ইসিএল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন। তাদের অভিযোগ, ইসিএল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানোর পরেও তারা এই বিষয়টিতে গুরুত্ব দেননি। এমনকি তাদের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি জানানো হলেও ইসিএলের কোনও প্রতিনিধি এলাকা পরিদর্শন করেনি বলে অভিযোগ।

বাড়িতে ফাটল। প্রতীকী ছবি ।

কয়লা উত্তোলনের সময় ঘটল বিপত্তি। খনিতে বিস্ফোরণের জেরে ফাটল ধরল ১৯টি বাড়িতে। ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের ফরিদপুর ব্লকের শীরষা গ্রামে। রাষ্ট্রায়ত্ত ইস্টার্ন কোলফিল্ড লিমিটেডের খনি থেকে কয়লা উত্তোলনের সময় এই বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে তার জেরে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। এই ঘটনার জেরে ব্যাপক আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা।

এই ঘটনার জন্য স্থানীয়রা ইসিএল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন। তাদের অভিযোগ, ইসিএল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানোর পরেও তারা এই বিষয়টিতে গুরুত্ব দেননি। এমনকি তাদের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি জানানো হলেও ইসিএলের কোনও প্রতিনিধি এলাকা পরিদর্শন করেনি বলে অভিযোগ। বাড়িতে ফাটল দেখা দেওয়ায় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় সারা রাত বাড়ির বাইরে কাটাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এই ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ইসিএলের দাবি, সেখানে যারা বসবাস করছেন সেটা ইসিএলের জমি। যদিও স্থানীয়দের দাবি, বছর খানেক আগে রাজ্য সরকার সেই জমি স্থানীয়দের পাট্টা দিয়েছিল। সেই জমিতেই তারা বাড়ি বানিয়ে বসবাস করছেন। তাই এটা ইসিএল কর্তৃপক্ষের জমি নয়। বাড়িতে ফাটল ধরার পরেই এলাকা খতিয়ে দেখে স্থানীয় পুলিশ।

কয়েকদিন আগেই খোলামুখ খনি এলাকায় ধস নেমেছিল। যার জেরে বেশ কয়েকটি এলাকার একাধিক বাড়িতে ফাটল দেখা গিয়েছিল। তবে সেই সময় বাড়ির সদস্যরা না থাকায় বিপদ ঘটেনি। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল কিন্তু সেই ঘটনাতেও ইসিএল কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই খনিতে বিস্ফোরণের জেরে একাধিক বাড়িতে ফাটল দেখা দেওয়ায় আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা।