ফের কার্যত অসাধ্য সাধন করল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বিহারে কিষাণগঞ্জের বাসিন্দা শোভা দেবী টোটোতে চেপে যাচ্ছিলেন। সেই সময় পাশ দিয়ে বাঁশ নিয়ে এক ব্যক্তি যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার জেরে শোভাদেবীর পাঁজর দিয়ে বাঁশ এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে যায়। তবুও বেঁচে ছিলেন তিনি। এদিকে শরীর থেকে বেরিয়ে থাকা বাঁশের বাইরের অংশ কেটে ফেলা হয়। কিন্তু তবুও বাঁশের একাংশ শরীরের মধ্যে থেকে যায়। এরপর বিহারের পূর্ণিয়ার হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে রেফার করা হয় উত্তরবঙ্গে মেডিক্যাল কলেজে। এরপরই শুরু চিকিৎসকরদের লড়াই।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল রোগীর। তবে দেরি না করে রাতেই অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। শুরু হয় কার্যত যমে-মানুষে লড়াই। দেখা যায় পাঁজরের হাড় ভেঙে ঢুকে গিয়েছে বাঁশটি। কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে ফুসফুসের ক্ষতি হয়নি। রক্তবাহী নালির বড় ক্ষতি হয়নি। সেকারণেই শ্বাস নিতে পারছিলেন তিনি। অত্যন্ত জটিল অপারেশন করে সফল হয়েছেন চিকিৎসকরা। কার্যত চিকিৎসকদের হাতে নতুন জীবন পেয়েছেন শোভাদেবী।
চিকিৎসক অভিষেক গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রোগীর অবস্থা সংকটজনক ছিল। চ্যালেঞ্জের মুখে অপারেশন করতে হয়েছে। তবে তাঁর বিপদ কেটেছে। তবে যেভাবে রাতেই অপারেশন করে রোগীর প্রাণ বাঁচিয়েছেন উত্তরবঙ্গে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাতে অত্যন্ত খুশি শোভাদেবীর পরিবারের লোকজন।