রাজ্যের দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে 'জাওয়াদ'। যদিও রাজ্যে সেটি পৌঁছাবে গভীর নিম্নচাপ হয়ে। কিন্তু তারপরেও নিরাপত্তায় কোনও রকমের খামতি রাখতে চাইছে না প্রশাসন। কোনওভাবেই যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে, সেজন্য সতর্ক হুগলি জেলা প্রশাসন। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ইতিমধ্যেই মাইকে করে প্রচার করে বেড়ানো হয়েছে এলাকায়। মানুষকে নানাভাবে সতর্ক করা হয়েছে। এবার ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোর জন্য আজ ও কাল রবিবার এই দু'দিন হুগলি জেলায় ফেরি পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল জেলা প্রশাসন।
সাধারণত সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাস হলে তার প্রভাব পড়ে উপকূলবর্তী জেলাগুলোর নদীতে। সেই কারণে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ফেরি সার্ভিস বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই নোটিশ আজ সকালে দিয়ে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন ফেরিঘাটে। নোটিশে জানানো হয়েছে, জাওয়াদের কারণে শনিবার এবং রবিবার এই দুই দিন বন্ধ থাকবে ফেরি সার্ভিস বন্ধ থাকছে। অনেক যাত্রীকে এদিন ফেরিঘাটে আসতে দেখা যায়। কিন্তু ফেরি সার্ভিস বন্ধ থাকায় তাঁদের আবার ফিরে যেতে হয়।
অন্যদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঝড়ো হওয়ার পাশাপাশি ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে উপকূলবর্তী জেলা-সহ রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। ইতিমধ্যেই সুন্দরবন, কাকদ্বীপ প্রভৃতি এলাকায় বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের সাতটি জেলায় মোতায়েন করা হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে। পাশাপাশি প্রস্তুত রয়েছে রাজ্য প্রশাসনও। বিভিন্ন জেলা এবং কলকাতার দফতরগুলোতে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। দিঘা বরাবরই পর্যটকদের পছন্দের একটি স্থান। তবে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আজ সকাল থেকেই সেখানে মাইকিং করে পর্যটকদের নিরাপদে সরে যেতে বলা হয়েছে। যে কারণে এদিন পর্যটকশূন্য ছিল দীঘা, বকখালি প্রভৃতি এলাকা।
এদিকে, এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করে দিয়েছে পূর্ব ,দক্ষিণ-পূর্ব রেল-সহ ভারতীয় রেলের একাধিক শাখা। সেইসঙ্গে সমুদ্রে নিষেধ সমুদ্র যেতে নিষেধ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের।