অতনুশঙ্কর দাস। সিউড়ি সদর হাসপাতালে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ হিসাবে কর্মরত ছিলেন তিনি। আদতে তিনি কলকাতার বাসিন্দা। পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে খবর করোনার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছিলেন তিনি। মে মাসের ৮ তারিখে তাঁর করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। প্রথমে তাঁকে বোলপুরের কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানেও তাঁর অবস্থার অবনতি হচ্ছিল ।এরপর রবিবার রাতেই মৃত্যু হয় তাঁর।
এদিকে তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সকলের সঙ্গে অত্যন্ত বন্ধুর মতো মিশতেন তিনি। তাঁর এই মৃত্য়ু কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। দিনরাত হাসপাতালে পড়ে থাকতেন তিনি। গোটা হাসপাতাল ছিল তাঁর বৃহত্তর পরিবারের অংশ। এদিকে তাঁর স্ত্রীও করোনায় আক্রান্ত। তাঁকে কলকাতার মহেশতলার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে।তবে হাসপাতাল সূত্রে খবর, গতবছর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন সিউড়ি হাসপাতালের অপর এক চিকিৎসক।
তবে চিকিৎসকদের একাংশের মতে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পরেও সতর্কতা অবলম্বন করাটা জরুরী। এব্যাপারে কোনও শিথিলতা করাটা উচিৎ নয়। তবে একের পর এক চিকিৎসকের মৃত্যু কোনওভাবে মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। করোনা বিধি যাতে সকলেই মেনে চলেন সেটা দেখা অত্যন্ত দরকার। কোনওভাবে উপসর্গ দেখা দিলে আরও সতর্ক হওয়া উচিৎ।