দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল চালানোর প্রতিবাদ করায় শিক্ষককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা। দেহ রেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলল জাতীয় সড়ক অবরোধ। অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর করল উত্তেজিত জনতা। তাদের পাহারা দিল পুলিশ।
ঘটনা সোমবারের ডেবরায় শিক্ষক লক্ষ্মীরাম টুডুর বাড়ির সামনে দিয়ে দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিল এক যুবক। তখন তাকে থামায় স্থানীয়রা। এর পর স্থানীয়দের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন যুবক। তা দেখে মীমাংসা করতে এগিয়ে যান লক্ষ্মীরামবাবু। তখন অভিযুক্ত যুবক দলবল নিয়ে লক্ষ্মীরামবাবুর ওপর হামলা চালায়। তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত শিক্ষককে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করেন স্থানীয়রাই। মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়।
এর পর অভিযুক্ত ৫ যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবার ময়নাতদন্তের পর দেহ বাড়ি পৌঁছলে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয়রা দেহ নিয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে চলছে সেই অবরোধ। স্থানীয়দের একাংশ অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন। বাইরে লাঠি সোটা হাতে দাঁড়িয়ে দেখে পুলিশ।
স্থানীয়দের দাবি, নিহত শিক্ষক এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। তিনি ভারত জাকাত পরগনা মহলের এলাকার অন্যতম নেতা। তাঁর খুনিদের কঠোর সাজা নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে। একই সঙ্গে মূল অভিযুক্তের পরিবারকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হবে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকায় বেপরোয়া মোটরসাইকেলের দৈরাত্ম্য বাড়ছে। তাদের রুখতে কোনও তৎপরতা দেখায় না পুলিশ। তার জেরেই বাড়বাড়ন্ত বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালকদের।