করোনার কারণে গত বছর উৎসব ও বইমেলার আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। তবে এবান পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিকের পথে। তাই উৎসব ও বইমেলার আয়োজন হতে চলেছে ধূপগুড়িতে। পুরসভার উদ্যোগেই এই মেলার আয়োজন হয়।
জানা গিয়েছে, গত সোমবার পুরসভার সভাকক্ষে এই মেলার আয়োজন সংক্রান্ত বিষয়ে একটি সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পুরসভার চেয়ারপার্সন ভারতী বর্মণ, ডেপুটি চেয়ারপার্সন রাজেশ কুমার সিং, জেলা পরিষদের সদস্য মমতা বৈদ্য সরকার, জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সভাপতি মমতা গোপ-সহ পুরসভার অন্যান্যরা। এই সভাতেই স্থির হয়, আগামী ১৪ থেকে ২৩ জানুয়ারি এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে। এবারের অনুষ্ঠান হবে পুরসভার ফুটবল ময়দান ও ডাকবাংলো ময়দানে। এবারে মেলা প্রাঙ্গণে যেমন বিভিন্ন ধরনের বইয়ের স্টল থাকছে, তেমনি হস্তশিল্পের স্টল, বিভিন্ন ধরনের স্টলেরও আয়োজন করা হবে। এর পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হবে।
এই প্রসঙ্গে ভাইস চেয়ারপার্সন রাজেশ কুমার সিং জানান, করোনা মহামারীর কারণে গত দু'বছর উৎসব অনুষ্ঠিত করা সম্ভব হয়নি। তবে এবারে ধূপগুড়িতে উৎসব ও বইমেলা হবে। আশা করছি, ভালোভাবেই এবারে অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে। তবে এরইমধ্যে নানা ধরনের আশঙ্কা দানা বাঁধছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, মেলা হলে প্রচুর মানুষের সমাগম হবে। সেক্ষেত্রে ভিড় নিয়ন্ত্রণ কীভাবে হবে, তা নিয়ে আয়োজকরা চিন্তায় রয়েছেন। সেক্ষেত্রে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।