বিজেপির অন্দরে বিদ্রোহের আঁচ পাওয়া যাচ্ছে গত কয়েকমাস ধরেই। তারই রেশ ধরে সূত্রের খবর, বাঁকুড়া পুরুলিয়ার ৯জন বিধায়ক একেবারে সরসারি কেন্দ্রীয় নেতাদের চিঠি পাঠিয়েছিলেন। দুই বিধায়ক কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছাড়তে চান বলেও গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। এনিয়ে দলের অন্দরে জলঘোলা হতে থাকে ক্রমশ। তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এবার সেই বিধায়কদের গলাতেই অন্য়রকম সুর। ইন্দাসের বিজেপি বিধায়ক নির্মল ধারা জানিয়েছেন তিনি এমন কোনও চিঠি পাঠাননি। ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ ধারার দাবি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা তিনি ছাড়তে চান না। তবে ব্যক্তিগত কিছু কারণে তিনি নাড্ডাকে চিঠি পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
এখানেই প্রশ্ন উঠছে চিঠিতে ৯জন বিধায়কের সই ছিল বলে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হয়েছিল। তবে বর্তমানে অমরনাথ ধারার দাবি তিন চারজন বিধায়ক সই করেছেন। সেক্ষেত্রে দুজনের নাম তিনি উল্লেখ করেন। কিন্তু সেই বিধায়কদের আবার দাবি, তাঁরা কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছাড়তে চান না। এদিকে বাঁকুড়ার বিধায়ক নিলাদ্রীশেখর দানার দাবি, আমি করোনা আক্রান্ত। গৃহবন্দি রয়েছি। দরকারি কাগজপত্রে সই করেছি। সবটা মনেও রাখতে পারছি না। তার মধ্যে নড্ডাজিকে লেখা কোনও চিঠি ছিল কি না বলতে পারব না। আমার সব কিছু মনে থাকছে না। সোনামুখীর বিধায়ক চন্দনা বাউড়িও অবশ্য় এই চিঠির প্রসঙ্গে স্পষ্ট দাবি, আমার নাম কেন জড়াচ্ছে আমি জানি না।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কেন এভাবে সুর বদলে ফেললেন বিধায়করা? দলের একাংশের মতে, বাংলায় দলের অন্দরে কারা বিদ্রোহ করছেন তাদের উপর বাড়তি নজর রাখছে অমিত শাহের দফতর। সেকারণেই আর এনিয়ে বেশি জলঘোলা করতে চাইছেন না বিধায়করা।